গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে লোকজনের কাছে পরিচয় দিত। মাঝেমধ্যে গাড়ি চড়েও ঘুরতে দেখা যেত। টাকা দিলে চাকরি করিয়ে দেবে! এই কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা সে তুলেছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু কাউকেই চাকরি দিতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে টাকা দাবি করতে থাকে। কিন্তু কোনও টাকাই ফেরত দিতে পারে না। শেষপর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেরায় জানা যায়, ওই যুবক আদপে কোনও পুলিশ অফিসারই নয়। মিথ্যা কথা বলে চাকরি দেওয়ার নামে বাজার থেকে সে টাকা তুলত বলে অভিযোগ। এরপরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত ওই যুবকের নাম সাবির শেখ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সাবির শেখের আসল বাড়ি বনগাঁ পাইকপাড়া এলাকায়। গত ছয় মাস ধরে স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল সে। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, টাকা দিলে চাকরি পাইয়ে দিতে পারে সে। এই কথা বলে, এলাকার বহু বেকার যুবক-যুবতীর থেকে কয়েক লক্ষ টাকা সে তোলে বলে অভিযোগ। সুব্রত গোলদার নামে এক যুবক দাবি করেছিলেন, চাকরি দেওয়া হবে বলে সাত লক্ষ টাকা তাঁর থেকে নেওয়া হয়েছিল। এদিকে কোনও টাকাই দিতে পারেনি সে। এদিকে যুবক-যুবতীরা দেওয়া টাকা ফেরতের দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু সেই টাকা অভিযুক্ত ফেরত দিতে পারছিল না।
গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয়রা তার উপর চড়াও হয়। টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বরূপনগর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। জেরায় আসল কথা জানা যায়। ভুয়ো পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কথাও জানা যায়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আজ রবিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পিছনে বড়সড় চক্র আছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।