নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: হারিয়ে যাওয়া গোরুর বাছুর খোঁজাখুঁজি নিয়ে দুই প্রতিবেশী পরিবারের মধ্যে মারপিট। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের লহন্ডা রামপুর এলাকায়। অভিযোগ, দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট চলাকালীন সাহেব আলি নামে এক যুবকের ঘাড়ে তরোয়ালের কোপ দেয় বিবাদমান আরেক পক্ষ। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এনিয়ে বিবাদমান দু’পক্ষই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, একটি মারপিটের ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সকালে রায়গঞ্জের লহন্ডা রামপুর এলাকায় সাজোনেসা খাতুন নামে এক মহিলার গোরুর বাছুর হারিয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এরই মধ্যে সাজোনেসা প্রতিবেশী আনজেনা খাতুনের বাড়িতে যান। বাছুরের বিষয়ে জানতে চান দেখেছেন কি না। তারপরই বচসার সূত্রপাত। ক্রমে বচসা, গালিগালাজ, শেষে মারপিট এবং তরোয়াল দিয়ে সাজোনেসার স্বামী সাহেব আলিকে কোপ মারা হয়।
সাজোনেসা বলেন, আমাদের বাছুর আনজেনার বাড়ির দিকে চলে যায়। আমি ওদের বাড়িতে বাছুর খুঁজতে যাই। তখন প্রতিবেশী সিদ্দিক মহম্মদের স্ত্রী আনজেনা আমরা চুল ধরে মারতে শুরু করে। তখন আমার স্বামী সাহেব আলি ওখান থেকে আমাকে সরিয়ে আনার জন্য যান। সেসময় সিদ্দিকের বড় ছেলে তরোয়াল দিয়ে আমার স্বামীর ঘাড়ে কোপ মারে। তড়িঘড়ি স্বামীকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে আনজেনা বলেন, বাছুর হারিয়ে গিয়েছিল বলে সাজোনেসা ও সাহেব আলি আমাদের বাড়িতে আসে। জানতে চায় বাছুর কোথায় লুকিয়ে রেখেছি। সেসময় আমার বাড়িতে কেউ ছিল না। আমি কিছু বলার আগেই আমার মুখে ঘুষি মারে সাহেব আলি। এতে আমার একটি দাঁত নড়ে গিয়েছে। কেউ ওদের আক্রমণ করেনি।