সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: নববর্ষে জনসংযোগের উপর বিশেষ নজর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। নতুন বছরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মাঠে নামাতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, জেলার আটটি ব্লক ও তিনটি শহরে নববর্ষের সকালে প্রভাতফেরি করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক ও শহরজুড়ে ‘বঙ্গ দিবস’ পালন করবে তৃণমূল। এলাকার প্রবীণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংবর্ধনার পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করানোর ব্যবস্থা থাকছে।
ইতিমধ্যেই জেলা তৃণমূলের তরফে কর্মসূচির তালিকা ব্লক ও টাউন সভাপতিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে থেকেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষের মন পেতে জনসংযোগকেই হাতিয়ার করছে। নববর্ষ থেকে যার যাত্রা শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় গরমিল খুঁজতে বাড়ি বাড়ি যাবেন তৃণমূল কর্মীরা। ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছয়টি বিধানসভা আসনে ঘুরে দাঁড়ানোর টার্গেট নিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পয়লা বৈশাখ থেকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে দলকে পরিচালনা করবে। যদিও জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলের দখলে থাকা তিনটি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এবারে বিধানসভার আসন বাড়ানোই টার্গেট। তার জন্য সাধারণ মানুষের মন পেতে এই উদ্যোগ জোড়াফুলের। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, আমরা বঙ্গ দিবস পালন করব নববর্ষের দিন। প্রবীণ নাগরিকদের সম্মানিত করা হবে।
বিধানসভা ভোটের জন্যই কি এই তত্পরতা? জেলা সভাপতি সুভাষের বক্তব্য, আমরা প্রথম থেকেই সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছি। এখন আরও বেশি করে যাওয়া হবে। রাজ্য ও এলাকার ইস্যু নিয়ে নববর্ষের পর থেকে ময়দানে থাকবে দল। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আমরা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করছি। ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের যথেষ্ট সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে।
বিধানসভা ভোটের আগে নববর্ষে তৃণমূলের এই জনসংযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, রাজ্যে একটা অস্থির পরিস্থিতি করে দিয়েছে শাসকদল। দিকে দিকে চাকরিহারাদের আর্তনাদ। বঙ্গ দিবস ও নাগরিক সংবর্ধনা কর্মসূচি যতই করার চেষ্টা করুক তৃণমূল, মানুষ তা মেনে নিতে পারছে না। শাসক দলের অস্তিত্ব বিপন্ন। বিধানসভা ভোটে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন।