সংবাদদাতা, পতিরাম: বৃষ্টি নেই। ভাঙা ড্যামের একাংশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে আত্রেয়ী নদীর জল। এবার তারই প্রভাব পড়ল বালুরঘাট শহরের পানীয় জলের প্রকল্পে।এই প্রকল্পের জল উত্তোলন কেন্দ্রের কাছে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীর জল। ফলে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে বালুরঘাট পুরসভা। পুরসভার তরফে ইঞ্জিনিয়াররা শহরের কংগ্রেস ঘাটের ওই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা,আগামীতে ওই এলাকা থেকে জল তোলা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে গোটা শহরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।
বালুরঘাট পুরসভার পানীয় জল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এমসিআইসি অনোজ সরকার বলেন, সব জায়গাতেই আত্রেয়ীর জল শুকিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জল প্রকল্পের কাছে বালি বেরিয়ে আসছে। জল থাকলে প্রকল্প থেকে ভালোভাবে সরবারাহ করা যাবে। জল শুকিয়ে গেলে সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।
পুরসভা সূত্রে খবর,বালুরঘাট শহরে ইতিমধ্যে ২০ হাজার বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সকালে ও দুপুরে এক ঘণ্টা করে জল সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে নদীর জল প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এদিকে ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় ওই জল চলে গিয়েছে। এদিকে ড্যামের পাশেই রয়েছে পানীয় জলের প্রকল্প। ফলে আগে থেকেই ওই উত্তোলন কেন্দ্রে জলের সমস্যা ছিল। বর্তমানে সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। যে জায়গা থেকে জল তোলা হয়, সেখানে অল্প জল রয়েছে। পাশেই চর দেখা যাচ্ছে। প্রতি বছর গ্রীষ্মে জলের সমস্যা থাকলেও ওই জায়গায় চর দেখা যায় না। তবে এবার ড্যাম ভেঙে যাওয়ার কারণে চর দেখা যাচ্ছে।
বালুরঘাট শহরের অধিকাংশ পরিবার এই পানীয় জলের প্রকল্পের উপর নির্ভরশীল। পানীয় জল বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বেন বাসিন্দারা। মূলত, বালুরঘাট শহরের লাইফ লাইন আত্রেয়ী নদী। এই নদীর উপরে নির্ভর করে শহরের পানীয় জল থেকে শুরু করে জীবন জীবিকা। বাংলাদেশে আত্রেয়ীর উপর ড্যাম দেওয়ায় প্রতি বছর জল সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে বালুরঘাটেও জল ধরে রাখতে স্বল্প উচ্চতার ড্যাম তৈরি করা হয়েছে। ওই ড্যামের মাধ্যমে অল্প করে জল ছাড়া হয়। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ড্যামের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় সমস্ত জল চলে গিয়েছে। ফলে এবার পানীয় জল প্রকল্পেও সেই প্রভাব পড়েছে। এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের এক বাসিন্দা অনিমেষ সরকার বলেন, ড্যামের কারণে সমস্ত কিছুর উপরই প্রভাব পড়ছে। এবার পানীয় জল বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের জল কিনে খেতে হবে। অবিলম্বে সরকার এনিয়ে ব্যবস্থা নিক।