• চাই নতুন জামা-শাড়ি, শেষ রবিবার চৈত্র সেলের বাজারে উপচে পড়া ভিড়
    বর্তমান | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: পয়লা বৈশাখের আগে শেষ রবিবার উত্তরবঙ্গে জমজমাট ছিল চৈত্র সেলের বাজার। বিশেষ করে জামা, জুতো, শাড়ি, মেয়েদের সাজগোজের দোকানে ছিল ভিড়। এদিকে, পয়লা বৈশাখে দোকানে দোকানে হালখাতা ও গণেশপুজোর প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে ঝাড়পোছ করে আলোর মালায় কিছু দোকান সাজিয়ে তোলা হয়েছে। 

    আজ, সোমবার চৈত্র মাস শেষ। রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবার উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যনগরী শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের ঠাসা ভিড় ছিল। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বিধান মার্কেট, হিলকার্ট রোড মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, হংকং মার্কেট, হকার্স কর্নার, সেভক রোড, বর্ধমান রোড ও সিটি সেন্টারের বিভিন্ন শপিং মলে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের পোশাক, যুবকদের টি-শার্ট, মেয়েদের কুর্তা, শাড়ি, জুতোর দোকানে উল্লেখযোগ্য ভিড় ছিল। 

    ক্রেতারা বলেন, অন্য সময় দোকানে আসা হয় না। কিন্তু এখন বাজারে চৈত্র সেল মিলছে। তাই বাজারে এসেছে বাংলা নববর্ষ, সামনে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নতুন পোশাক কিনছি। হিলকার্ট রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সনৎ ভৌমিক বলেন, বাজারে মানুষ আসছেন। বিভিন্ন দোকান ঘুরে কেনাকাটা করছে। বাজার ভালো রয়েছে। যদিও বৃহত্তর শিলিগুড়ি খুচরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পয়লা বৈশাখের বাজার কিছুটা মন্দা। 

    এদিন কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাজার হাট খোলা ছিল। এদিন দুপুর থেকে কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে  ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। পোশাক, জুতো, প্রসাধনী সামগ্রী থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিক্রি-বাট্টা ভালো ছিল। জেলার মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা সহ বিভিন্ন এলাকার বাজারও ছিল জমজমাট। 

    আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতেও বাজারেও ছিল একই দৃশ্য। এদিন সকালে বৃষ্টি থামতেই আলিপুরদুয়ারের প্রতিটি বাজারে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে। জেলা সদরের মাড়োয়ারিপট্টি, পুরসভার সুপার মার্কেট, নিউ টাউন, মাধব মোড়, কলেজ হল্ট ও বড়বাজার এলাকার কাপড়ের দোকানগুলিতে চৈত্র সেলের ঠাসা ভিড়। আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে চৈত্র সেলের নানান ধরনের অফার। ফলে বাজার জমজমাট। 

    বিকেলের পর জলপাইগুড়ি শহরের মার্চেন্ট রোডে পা রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। একই ছবি ছিল ডিবিসি রোডে। বিকেলের পর সংশ্লিষ্ট বাজারে গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দিনবাজারেও টোটো প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। চৈত্র সেলের পাশাপাশি রাস্তার ধারে বিক্রি হয় লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি। 
  • Link to this news (বর্তমান)