• তপন হাইস্কুলে নেই কোনও গ্রুপ ডি কর্মী, ঘণ্টা বাজাচ্ছেন শিক্ষকরা
    বর্তমান | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তপন: তপন হাইস্কুলে নেই কোনও গ্রুপ-ডি কর্মী। একা পাহারাদার সামলাচ্ছেন দরজা খোলার দায়িত্ব। শিক্ষক বাজাচ্ছেন ঘণ্টা। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ায় প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তপন হাইস্কুলে। প্রায় সাড়ে বারোশো পড়ুয়া পড়ে এই বিদ্যালয়ে। বর্তমানে গ্রুপ-ডি পদে কোনও কর্মী নেই। 

    বিদ্যালয়ে রয়েছে তিনটি বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি, একটি কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি লাইব্রেরি। ল্যাব খোলা-বন্ধ রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং উপকরণ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন সহায়ক কর্মীর। কিন্তু গ্রুপ-ডি পদ শূন্য থাকায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের দরজা খোলা, মাঝে মধ্যে ঘণ্টা বাজানো, এমনকী অতিথিদের স্বাগত জানানো-এই সমস্ত দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন পাহারাদার। অথচ তাঁর কাজ মূলত রাত্রিকালীন নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু দিনের বেলা এখন তিনি প্রায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ভূমিকায়। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ঘণ্টা বাজাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরও।  স্কুলের টিআইসি আব্দুল মৌদুদ বলেন, ঝাড়ুদার ও পিয়নের কাজে কিছু ক্যাজুয়াল কর্মী রয়েছেন, তাঁদের দিয়েই গ্রুপ ডি কর্মীর কাজ সামলানো হচ্ছে। সমস্যার বিষয়টি ডিআই অফিসে জানানো হয়েছে। তপন উচ্চ বিদ্যালয়ে রয়েছেন ২০ জন পার্শ্ব-শিক্ষক, ৭ জন প্যারা টিচার, এবং ১ জন টিচার-ইন-চার্জ (টিআইসি)। প্রশাসনিক কাজে রয়েছেন দুজন গ্রুপ-সি কর্মী, যাদের একজন দুই মাসের মধ্যে এবং অপরজন প্রায় এক বছরের মধ্যে অবসর নিতে চলেছেন। ফলে ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কাজেও বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক বীরেশ্বর সরকার বলেন, গ্রুপ ডি কর্মীর পদ বাতিলের পর এভাবেই চলছে স্কুল। ল্যাবগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। কর্মী নিয়োগ না হলে এর কোনও স্থায়ী সমাধান দেখছি না। 
  • Link to this news (বর্তমান)