নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও আরামবাগ: স্লগ ওভারে বাঁকুড়ায় চৈত্র সেলের বাজার জমে উঠেছে। মাসের প্রথম দিকে বিক্রিবাটা কিছুটা কম ছিল। পরে ঈদের জন্য বাজার চাঙ্গা হয়। শেষ রবিবার সেলের বাজার জমজমাট হল। ফলে জেলার পোশাক বিক্রেতাদের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে। পুরনো মজুত সামগ্রী বিক্রি হয়ে যাওয়ায় নতুন করে পোশাক আনতে হয়েছে বলেও ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মাসের প্রথম দিকে বাঁকুড়ায় চৈত্র সেলের বাজারে কিছুটা ভাটা ছিল। তবে শেষ এক সপ্তাহে বাজার অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে। গত এক মাসে জেলাজুড়ে কয়েক কোটি টাকার বিক্রিবাটা হয়েছে। পোশাকের থেকেও বিছানার চাদর, বালিশের কভারের মতো সামগ্রী বেশি বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। বাঁকুড়া শহরের চকবাজার এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ দত্ত বলেন, বাজারের দোকানগুলিতে চৈত্র মাস জুড়েই ভালো বেচাকেনা হয়েছে। শেষ এক সপ্তাহে বেশি বিক্রিবাটা হয়। গরমের জন্য হালকা সুতির পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। ছেলেদের টি-শার্ট, গেঞ্জি, হাফ ও ফুল শর্টসের চাহিদা বেশি ছিল। শহরের অন্য এক পোশাক বিক্রেতা বলেন, সাত বছর ধরে আমি ব্যবসা করছি। প্রতিবারই চৈত্র সেলে কমবেশি বিক্রিবাটা হয়। তবে এবার ভালো বিক্রি হয়েছে। সেলে আমাদের দোকানে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। ছোটদের জামা, ফ্রক, স্কার্ট ও মহিলাদের ঘরোয়া পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। বাঁকুড়া শহরের বধূ বিদিশা মণ্ডল বলেন, চৈত্র সেলে সস্তায় পোশাক পাওয়া যায়। ফলে সুযোগ হাতছাড়া করিনি। দুই মেয়ের জন্য ফ্রক কিনেছি। সেইসঙ্গে আমিও শাড়ি কিনে বাড়ি ফিরছি।
শেষ রবিবার চৈত্র সেলের বাজার জমজমাট পুরুলিয়াতেও। বহু ব্যবসায়ীই স্টক ক্লিয়ার করতে ছাড় ঘোষণা করেছে। সেই ছাড়ের সুযোগ নিতেই মূলত বাজারমুখী আমজনতাও। পুরুলিয়া শহরের কাপড় গলি, চক বাজারের দোকানগুলিতে ভিড় ছিল দেখার মতো।
এছাড়াও ঝালদা, বলরামপুর, মানবাজার থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই হাটেবাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। পুরুলিয়া শহরের কাপড় ব্যবসায়ী অমিত কুমারের কথায়, এবছর বাজার খুবই ভালো রয়েছে। শুধুই জামাকাপড় নয়, জুতো বা বাড়ির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রীও উল্লেখযোগ্য ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে।