• সোদপুরের স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা শূন্য, শিক্ষিকা ১৯ জন!
    বর্তমান | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের কয়েক হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকার। শিক্ষকের অভাবে জেলায় জেলায় স্কুল চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা। কিন্তু শহরতলির বিভিন্ন সরকারি স্কুলে একটি ভিন্ন চিত্রও দেখা যাচ্ছে। সেখানে বছরের পর বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রী সেভাবে নেই, কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। কোথাও আবার শিক্ষকের থেকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কম। এইসব ছাত্রহীন স্কুলের শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা হবে কি না, এবার তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সোদপুরে পাশাপাশি দুই স্কুল ভুবনেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় ও সোদপুর সুশীলকৃষ্ণ শিক্ষায়তন ফর বয়েজ। ভুবনেশ্বরী স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা শূন্য, অথচ শিক্ষিকার সংখ্যা ১৯ জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় সব শিক্ষিকাই রোজ স্কুলে এসে নিজেদের উপস্থিতি দেখাচ্ছেন। কেউ আবার নিয়মিত না এসেও একদিন এসে একাধিক দিনের সই করছেন। ছাত্রী না থাকায় টিচার্স রুমে বসে গল্প গুজব করে বাড়ি ফিরছেন ওই শিক্ষিকারা। কেউ আবার মোবাইল ঘেঁটে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

    একই অবস্থা সোদপুর সুশীলকৃষ্ণ শিক্ষায়তন ফর বয়েজ স্কুলেও। এই স্কুলের ছাত্র সংখ্যা এখন পাঁচজনে এসে ঠেকেছে। অথচ এখানে শিক্ষক রয়েছেন ১১ জন। হাতে গোনা যে ক’জন ছাত্র রয়েছে, তারাও ঠিক মতো স্কুলে আসে না। এই দুই স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকারা এই বিষয়ে কোনও মতামত দিতে রাজি হননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, স্কুলের ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ নিয়মিত জেলা শিক্ষাদপ্তরে পাঠানো হয়। শুধু পানিহাটির এই দুই স্কুল নয়। বরানগর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, কামারহাটি সহ উত্তর শহরতলির বিভিন্ন সরকারি স্কুলের হাল একই। বারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটা যাতে শিক্ষাদপ্তরের নজরে আসে, তা দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)