• উপনির্বাচনে জয় নিয়ে প্রত্যয়ী তৃণমূল, চর্চায় ৩ প্রার্থীর নাম
    বর্তমান | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছাব্বিশ সালের বিধানসভা ভোটের আগে একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন আসন্ন। ভোট হবে নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। তার জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। আর এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল শিবিরেও ভোট কেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী হিসেবে সম্ভাব্য তিনটি সামনে এসেছে।

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম রয়েছে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদের। যেহেতু এর আগেও দেখা গিয়েছে, কোনও জনপ্রতিনিধির মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যকেই মানবিক দৃষ্টি থেকে উপনির্বাচনের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কিছুদিন আগে হাজি নুরুল ইসলামের প্রয়াণে তাঁর ছেলে রবিউল ইসলামেকে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করে তৃণমূল। রবিউল বিপুল ভোটে জিতে বিধায়ক হন। ফলে সেই সূত্রে তৃণমূলের অন্দরে উপনির্বাচনে নাসিরুদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফার নামটিও সামনে এসেছে। রাজনীতির বিষয়ে সম্পূর্ণ খোঁজখবর রাখেন আলিফা। 

    এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে তারান্নুম সুলতানা মিরেরও নাম। তারান্নুম নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্যক জ্ঞান আছে তাঁর। ওইসঙ্গে রয়েছে তাঁর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও। এছাড়া নদীয়া জেলার রাজনৈতিক পরিসরে ঘোরাফেরা করছে কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে শেফালি খাতুনের নাম। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ফলে এই তিনটি নাম সর্বাধিক চর্চায় রয়েছে। তিনজনের মধ্যে কার ভাগ্যে সিঁকে ছেড়ে সেটাই এখন দেখার।

    কালীগঞ্জের দু’বারের বিধায়ক ছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক মহলে ‘লালদা’ নামে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর এই আসনটিতে জোড়াফুলের জয়ের পতাকা উড্ডীন রাখতে তৎপর ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের অভ্যন্তরে কালীগঞ্জ বিধানসভা আসন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কাকে প্রার্থী করা যায়, তা নিয়ে সবদিক খতিয়ে দেখছে তৃণমূল ভবন। 

    কালীগঞ্জের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য তৃণমূলের তরফে সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাঠাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। কালীগঞ্জ এলাকাটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত। ১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সেখানে জয় পায়নি গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রটি অতীতে ছিল কংগ্রেস ও আরএসপির দখলে। ২০১১ ও ২০২১ সালে কালীগঞ্জ থেকে জয়ী হন তৃণমূলের নাসিরুদ্দিন আহমেদ। ফলে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগেই, সেখানে উপনির্বাচনে বিপুল জয় নিয়ে বিজেপিকে বার্তা দিতে চায় তৃণমূল।
  • Link to this news (বর্তমান)