• বনগাঁয় বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই ন’টি দোকান
    বর্তমান | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: রবিবার ভোররাতে বনগাঁ বাটার মোড় এলাকায় বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল ন’টি দোকান। আগুনের শিখা এতটাই তীব্র ছিল যে, অনেকটা দূর থেকে তা দেখা যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ, গোবরডাঙার দমকলের চারটি ইঞ্জিন। আনা হয় বনগাঁ পুরসভার দু’টি জলের গাড়িও। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আসেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। আসে বনগাঁ থানার পুলিসও। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে পুড়েছে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস। ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন গোপাল শেঠ। এদিকে, আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস ও দমকল। 

    এদিন ভোর তিনটে নাগাদ বাটার মোড় টাউন কালীবাড়ির সামনে একটি ব্যাগের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জল দিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর যায় দমকলে। ইঞ্জিন আসার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানে। পরপর বেশ কয়েকটি ব্যাগ ও জুতোর দোকান ছিল। এছাড়া একটি শাখা এবং একটি স্টেশনারি দোকানও ছিল। সবগুলি দোকানে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্টেশনারি দোকানে প্রচুর শব্দবাজি মজুত ছিল। আগুন লাগতেই একের পর এক বাজি ফাটার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কী করে এত বাজি মজুত ছিল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় রেস্তরাঁ মালিক প্রণব কুণ্ডু বলেন, রাত তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। আসে পুলিস ও দমকল। তাঁর দাবি, জল দিতে দেরি হওয়ায় সবকটি দোকান পুড়ে গিয়েছে। চোখের সামনে প্রিয় শাখার দোকানটি পুড়ে যেতে দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মালিক অরুণকুমার বর্ধন। তিনি বলেন, সব শেষ হয়ে গেল। জুতোর ব্যবসায়ী শুভ বসাক জানান, দোকানে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকার মাল ছিল। কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই। পাশেই ছিল সুশান্ত দাসের জুতোর দোকান। তাঁর দোকানও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুশান্তবাবু বলেন, পাশে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভয় পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি সামনের দোকানগুলি দাউদাউ করে জ্বলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)