মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন পদে কর্মরত ২৩ জন পুলিসকর্তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রবিবারই তাঁরা সামশেরগঞ্জ থানায় রিপোর্ট করেছেন। শনিবার রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) একটি নির্দেশিকা জারি করে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপাতত চার দিনের জন্য মুর্শিদাবাদের বিশেষ দায়িত্ব সামলাবেন ‘দক্ষ’ পুলিসকর্তারা। অন্যদিকে, শনিবার ফের মুর্শিদাবাদে গুলি চলেছে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিজলতলা এলাকার এক বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বিএসএফের গুলিতে তিনি জখম হয়েছেন।
যদিও রবিবার দিনভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর পেলে সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন তিনি।
শনিবার জেলায় পৌঁছে পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ডিজিপি রাজীব। এই বৈঠকের পরেই গোটা রাজ্য থেকে ২৩ জন পুলিসকর্তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। শনিবার রাতে রাজ্য পুলিসের তরফে হাওড়ার সিপি, চন্দননগর কমিশনারেট, সিআইডির ডিজি, দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি-সহ একাধিক পুলিসকর্তা মুর্শিদাবাদে পৌঁছানোর চিঠি পেয়েছিলেন। এই চিঠি পেয়ে তাঁরা রবিবার জেলায় গিয়ে বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার আগে থেকে এলাকায় বিএসএফ মোতায়েন ছিল। এ দিন রাজীব কুমার বিএসএফের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এরপর জেলার বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পর রবিবার সেখানে পৌঁছেছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিংহ শেখাওয়াত। সকালেই তিনি জেলা স্পর্শকাতর এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জওয়ানদের আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে। যতদিন পুলিস চাইবে ততদিন এলাকায় বিএসএফ মোতায়েন থাকবে। পুলিসকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে। রবিবার সকালে সামশেরগঞ্জে গিয়েছিলেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
অপরদিকে, ফরাক্কার মহাদেবনগর নিমতলা এলাকায় রবিবার ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তৎপরতা শুরু করেছে
রাজ্য পুলিশ।