• তাপপ্রবাহ নয়, পয়লা বৈশাখে স্বস্তিই মিলতে পারে: পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের
    এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: চলতি মরশুমে ইতিমধ্যেই দু’দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রাকে ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছতে দেখেছে বাংলা। তবে ১৬ এবং ২৮ মার্চের পরে আর তেমন দিন আসেনি রাজ্যে। এপ্রিলের শুরু থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোটের উপরে ৩৪–৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই ঘোরাঘুরি করেছে।

    রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। বাংলা নবববর্ষের প্রথম দিনটায় কি চৈত্র–শেষের ওই আবহাওয়াই বজায় থাকবে? আবহবিদরা এখনও পর্যন্ত তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছেন। বিহার থেকে ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে ওডিশা উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপমাত্রার বড় রকমের কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই আশ্বাস আবহবিদদের।

    মধ্যপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানা পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে গত কয়েক দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পেয়েছে। একই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার গতির দমকা হাওয়াও দিনের শেষে অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বার সেই অক্ষরেখাই কিছুটা স্থান পরিবর্তন করেছে।

    রবিবার দুপুরে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উপর দিয়ে বিহার এবং ঝাড়খণ্ড হয়ে ওডিশা উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দেশের পূর্ব উপকূলে। এর প্রভাবেই বাংলায় অন্তত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়–বৃষ্টির আবহ বজায় থাকবে।

    সামনের কয়েকটা দিন রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ভাগ কেমন কাটাবে সেই বিষয়ে জানাতে গিয়ে হাওয়া অফিস একটি স্পেশ্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

    অন্য দিকে আজ সোমবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ–সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি আটটি জেলায় ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়া এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

    আগামিকাল, পয়লা বৈশাখ এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হাওয়ার বেগ কিছুটা কমলেও প্রায় প্রতিটা জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই দু’দিনও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে ঢুকে আসা এই জলীয় বাষ্পের জন্যই এখনও পর্যন্ত বাংলার কোনও জায়গাতেই ভয়াবহ গরমের অনুভূতি তেমন ভাবে টের পাওয়া যায়নি। আপাতত এই সপ্তাহেও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)