• ফেক! বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট প্রসঙ্গে জানাল পুলিশ
    এই সময় | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গায় অশান্তি প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গ–বিজেপির পোস্টকে ‘ফেক’ বলে চিহ্নিত করল রাজ্য পুলিশ। ওই পোস্ট প্রসঙ্গে অবশ্য তার আগেই সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল।

    বঙ্গ–বিজেপির এক্স হ্যান্ডলে রবিবার গুচ্ছ ছবির ওই কোলাজ পোস্ট করা হয়। প্রতিটি ছবির নীচে কোনও না কোনও উৎসব–অনুষ্ঠানের নাম লেখা। পোস্টে ছবিগুলির সঙ্গেই লেখা — ‘কী উৎসব হচ্ছে সেটা কোনও বিষয় নয়, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি অজুহাতই যথেষ্ট।’

    তৃণমূলের বক্তব্য, যে ছবিগুলি পোস্ট করা হয়েছে, সেগুলি অন্য রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনার। পোস্টের স্ক্রিন শট শেয়ার করে এ দিন সন্ধ্যায় জোড়াফুল শিবিরের ফেসবুক পেজে লেখা হয় — ‘বিজেপি কেবলমাত্র ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর কারখানায় পরিণত হয়েছে। যেখানে সত্যের কোনও মূল্য নেই। ...অন্য রাজ্যের ভয়াবহ ছবি ও ভিডিয়ো বিকৃত করে, সেগুলিকে বাংলার নামে চালিয়ে হিংসা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দাঙ্গাবাজ বিজেপি।’

    পুলিশও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় বিজেপির দাবি ভুয়ো। পাশাপাশি, প্রতিটি ছবি কোন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এবং বেশ কয়েকটি কোথাকার, তা–ও জানায় তারা।

    তার আগেই অবশ্য গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সাকেত গোখলে–সহ একের পর এক দলীয় সাংসদের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকে জোড়াফুল শিবির। এ প্রসঙ্গে সাগরিকার বক্তব্য, ‘বিজেপি ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছে। ইন্টারনেটে ভুয়ো ছবি, ভিডিয়ো দিয়ে বিজেপি দেখাতে চাইছে, এই সব ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে। (কিন্তু) এই ছবি, ভিডিয়োগুলি অন্য রাজ্যের। বিজেপির এমন কাজের তীব্র নিন্দা করছি।’

    তৃণমূলের অভিযোগ, লখনৌ, জলন্ধর, ম্যাঙ্গালোর ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকার গোলমালের ছবিকে মুর্শিদাবাদের ছবি বলে পোস্ট করছে বঙ্গ–বিজেপি। এ ব্যাপারে পুলিশি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে তৃণমূল। পাশাপাশি, সুকান্ত মজুমদার–সহ বিজেপির একাধিক নেতা–মন্ত্রী প্ররোচনামূলক বিবৃতি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। জোড়াফুল শিবিরের মতে, পদ্মের এই নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত। যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ‘তৃণমূল ভুয়ো ছবি ধুয়ে জল খাক। মানুষ ওদের ধুয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।’

    বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে নিয়েও একটি পোস্ট করেছে বঙ্গ–বিজেপি। সেখানে ইউসুফের একটি ছবি–সহ বিজেপির বক্তব্য — ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ইউসুফ পাঠান চা নিয়ে এমন ভাবে ছবি তুলেছেন, যেন ছুটি কাটানোর সময় এসে গিয়েছে।’ যদিও ইউসুফের ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’। তবে এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘এই মূর্খরা জানে না, যে জায়গায় চক্রান্ত করে গোলমাল করা হয়েছে, ইউসুফ সেখানকার সাংসদ নন। সেখানে এমপি হলেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী।’

    এই তরজার মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে সিপিএম দাবি করেছে যে, ধুলিয়ানে নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস বাম সমর্থক। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে মালদা, মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল বাম–কংগ্রেস। ২০২৬ সালের আগে বাম–কংগ্রেসের সমর্থন শেষ করে দিতেই এমনটা করা হয়েছে। দাঙ্গা ঠেকাতে গিয়ে মারা গিয়েছেন সিপিএমের দু’জন।’

  • Link to this news (এই সময়)