• দক্ষিণ দমদমের সর্বত্র পানীয় জলের সমস্যা মিটবে না এই গ্রীষ্মেও
    আনন্দবাজার | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • চলতি বছরের শেষ দিকের মধ্যে দক্ষিণ দমদমের ২৫টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পুরোপুরি পরিস্রুত পানীয় জল পেতে চলেছেন। এমন পরিকল্পনা সামনে রেখে কাজ চলছে। বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের সংযোগের কাজ শেষ হলে মাটির উপরিভাগের (গঙ্গা থেকে তোলা) পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। যার অর্থ, এ বারের গ্রীষ্মেও পুরোপুরি পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন না বাসিন্দারা। ভূপৃষ্ঠের এবং ভূগর্ভের জল মিশিয়েই সরবরাহ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ।

    দক্ষিণ দমদমের বাঙুর-লেক টাউন এলাকার ১০টি ওয়ার্ডে মাটির উপরিভাগের পরিস্রুত জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ওই পুরসভার বাকি ২৫টি ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হয় মিশ্রিত জল। দক্ষিণ দমদমের দমদম এবং রাজারহাট-গোপালপুর অংশের ২৫টি ওয়ার্ডে জল নিয়ে সমস্যায় জেরবার বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, প্রতিদিন প্রচুর খরচ করে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমনকি, কোথাও কোথাও ট্যাঙ্ক ভরাতেও জল কিনতে হচ্ছে। তাঁদের দাবি, যেটুকু জল সরবরাহ করা হচ্ছে, তাতে বাড়ির ট্যাঙ্ক সব সময়ে ভর্তি করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই তাঁদের পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে। পুর এলাকার একাধিক বহুতলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আবেদন করেও পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পাচ্ছেন না তাঁরা।

    পুরসভা সূত্রের খবর, বরাহনগর জল প্রকল্প এবং বাঙুরে তৈরি হওয়া জল প্রকল্প থেকে যে জল মেলে, তা যথেষ্ট নয়। ওই জল পেয়েও গড়ে দৈনিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি গ্যালন। ২৫টি ওয়ার্ডে ভূগর্ভস্থ জল এবং মাটির উপরিভাগের জল মিশিয়ে সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

    পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, বাঙুর জল প্রকল্প থেকে ওই সব ওয়ার্ডে জল সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যেই দু’টি ওয়ার্ডে ওভারহেড ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। পুর প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছেন, গঙ্গার নাব্যতা কমায় ফি-বছরই পুরসভা কম জল পাচ্ছে।

    যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) মৃন্ময় দাসের দাবি, জলের কোনও সঙ্কট নেই। তবে, ২৫টি ওয়ার্ডে বাসিন্দারা মিশ্রিত জল পাচ্ছেন। সেই সরবরাহ বর্তমানে ঠিক আছে। বাঙুর জল প্রকল্প থেকে জল নিয়ে যাওয়ার জন্য পাইপলাইনের কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ করতে আরও ছ’-সাত মাস সময় লাগবে। তার পরে ২৫টি ওয়ার্ডে পুরোপুরি মাটির উপরিভাগের জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)