সুন্দরবনে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ১২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
প্রতিদিন | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
দেবব্রত মণ্ডল, ক্যানিং: জল আর জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরবন। প্রতি পদে রয়েছে বিপদের সম্ভাবনা। সেই পথ দিয়েই ভারতে ঢুকেছিল ওরা। বাংলাদেশ থেকে আসা ১২ জন অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হল সুন্দরবন এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে তারা এভাবে সুন্দরবন দিয়ে এদেশে ঢুকেছে? কোনও অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র নিয়েই কি বাংলায় আসা? সেই প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বলে খবর।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত। বেশ কয়েক মাস ধরেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে পাকড়াও হয়েছেন একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নাম-পরিচয় লুকিয়ে, নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে থাকা বহু অবৈধ বাংলাদেশিও গ্রেপ্তার হয়েছে বাংলার পুলিশের হাতে। সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ ও পুলিশ। এই অবস্থায় ফের রাজ্যে পাকড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত বাঘমারা জঙ্গল দিয়ে ঢুকেছিল ওই ১২ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন এলাকায় কাঁটাতার নেই। নদী-খাড়িপথ দিয়ে ওই ১২ জন বাংলাদেশি জঙ্গল পেরিয়ে রাজ্যে ঢুকেছিল। ওই দলে বেশ কয়েকজন মহিলাও আছে বলে খবর। বাঘমারা জঙ্গল দিয়ে ঢুকে ওই ১২ জন লোকালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। শনিবার গভীর রাতে তাদের ওই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় টহলদারি পুলিশ কর্মীদের। তাদের ধরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ভারতের কোনও পরিচয়পত্রও তারা দেখাতে পারেনি। চাপ দিতেই জানা যায়, তারা বাংলাদেশের বাসিন্দা। অবৈধভাবে রাজ্যে প্রবেশ করেছে। এরপরেই সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
কী কারণে তারা সীমান্ত পেরিয়ে এল? অশান্তি বাঁধানোর পরিকল্পনা ছিল কি তাদের? নাকি পরিচয় গোপন করে বাংলায় থাকার ভাবনা? একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সুন্দরবনের নদী, জঙ্গল পেরিয়ে কীভাবে তারা সেখানে এল? কারা তাদের সাহায্য করল? সেই প্রশ্নও উঠেছে। পুলিশ এসব কিছুই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে।