সোমনাথ মাইতি, দিঘা
এ বারও ১৫ এপ্রিল থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য মৎস্য দপ্তর। যদিও মৎস্যজীবীদের একাংশ এই ব্যান পিরিয়ডের সময়সীমা বাড়িয়ে ৯০ দিন করার দাবি জানিয়েছিলেন। তবে মৎস্য দপ্তর সময়সীমা না বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন— ৬১ দিনের ব্যান পিরিয়ড ঘোষণা করেছে। মূলত সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্যে রাজ্য মৎস্য দপ্তর সমুদ্রে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
কাঁথি মৎস্য দপ্তরের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুমন সাহা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশিকা চিঠি ও ই–মেলের মাধ্যমে মৎস্যজীবী সংগঠন ও মৎস্যজীবীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে কেউ সমুদ্রে মাছ শিকার করতে না যায় তার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হবে। কোনও ট্রলার নির্দেশিকা না মেনে মাছ ধরতে গেলে ট্রলার বাতিল করা হবে ও ট্রলারের লাইসেন্স বতিল করা হবে।’
দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি দেবাশিস শ্যামল বলেন, ‘মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্যে আমরা ৬০ দিনের পরিবর্তে ব্যান পরিয়ডের সময়সীমা বাড়িয়ে ৯০ দিন করার দাবি জানিয়েছিলাম। সময়সীমা বাড়ানো হলে সামুদ্রিক মাছের আকার বড় হবে। সংখ্যাও বাড়বে। মৎস্যজীবীরাই লাভবান হতেন সময়সীমা বাড়ানো হলে।’ দিঘা শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘সমুদ্র থেকে সমস্ত ট্রলার ও মৎস্যজীবীরা ফিরে এসেছেন।’