প্রশাসনের প্রতি আস্থা ধুলিয়ানের মানুষের, খুলছে দোকান, ফিরছেন ঘরছাড়ারা ...
আজকাল | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা এবং জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকদের সময়মতো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ক্রমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের অন্তর্গত ধুলিয়ান এবং সংলগ্ন এলাকায়।
কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে কিছু মানুষের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, সুতি, এবং সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে।
আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মুর্শিদাবাদ জেলায় এসেছেন খোদ রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এখনও মুর্শিদাবাদ জেলায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সহ রাজ্য পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা।
ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশাসনের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর তার ফলেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ধুলিয়ান এবং সংলগ্ন এলাকায়। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। সোমবার সকালে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় সহ পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা ধুলিয়ান এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ করেন।
এছাড়াও বিএসএফ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সামশেরগঞ্জ এবং সংলগ্ন এলাকায় টহলদারী চালাচ্ছেন। সোমবার সকাল থেকে নতুন করে আর কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে টহলদারি চালাচ্ছে। অশান্তির ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০–র বেশি দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘কিছু এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পিকেট করা হয়েছে। মোটরসাইকেল করে পুলিশ পেট্রলিং চলছে এবং কনভারের মাধ্যমে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে।’ পুলিশ সুপার সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেন কোনও রকম গুজবে কান দেবেন না।
অন্যদিকে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সোমবার সামশেরগঞ্জ থানায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘ধুলিয়ান এবং সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিটি জায়গায় আমাদের বাহিনী রয়েছে এবং সিনিয়র অফিসাররা সেখানে থাকছেন।’
সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘অশান্তির কারণে কিছু মানুষ যারা ধুলিয়ান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৯ জন গতকাল রাতেই ফিরে এসেছেন। আরও ১০০ জন শীঘ্রই ফিরতে চলেছেন। যারা ফিরে আসছেন তাদের সকলের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যারা ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন তারা সকলেই নিরাপদে এবং অক্ষত রয়েছেন। তাদের যেকোনও প্রয়োজনে প্রশাসন সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবে।’ এডিজি আরও জানিয়েছেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামশেরগঞ্জের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে এবং দোকানপাট খুলতে শুরু করে দিয়েছে।’