সিবিআইয়ের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে পথে ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড), তাঁদের চাকরি বাতিলের সঙ্গে বেতনও ফেরত দিতে হবে। এই সংখ্যাটা প্রায় ৭ হাজার। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছিল হাইকোর্ট। এবার পথে নামলেন ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা।
চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের দাবি, তাঁদের সামাজিক সম্মান ‘নষ্ট’ হচ্ছে তাঁদের। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। চাকরিহারা রীতেশ ঘোষ বলেন, ‘অনেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ওএমআর শিটে গন্ডগোল রয়েছে বলে কোর্টে তথ্য দিয়েছিল সিবিআই। ওই ওএমআর শিট ম্যানুপুলেট করা হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। সিবিআই তথ্য দিয়েছে মানেই সেই তথ্য যে সঠিক, তা নয়।’ গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া সেই হার্ডডিস্কের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে ‘অযোগ্য’ চাকরিহারা।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রচুর সাদা খাতা উদ্ধার করেছে সিবিআই। অর্থাৎ, কোনও প্রশ্নের উত্তর না-লিখে সাদা খাতা জমা দিয়ে কেউ কেউ পাশ করেছেন এবং চাকরি পেয়েছেন। মূলত তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসএসসির প্যানেলের বাইরে থেকেও অনেকে চাকরি পান। তাঁদেরও ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করেছে সিবিআই। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরাও আদালতের চোখে ‘অযোগ্য’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিলেন।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন। মমতা বলেন, ‘যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য আছে আমি দেখব। আবার আপনাদের ডাকব। সত্যি যদি তাঁরা অযোগ্য বলে প্রমাণিত হন, আমার তখন কিছু করার থাকবে না। কিন্তু কাকে কেন অযোগ্য বলা হয়েছে, কে তদন্ত করেছে, আলাদা করে সেটা দেখতে হবে। আলাদা করে সেটা নিয়ে আমি কথা বলব। সকলে নিশ্চিন্তে থাকুন।’