নববর্ষ মানেই হালখাতা থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার। যদিও বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সেসব এখন অতীত। অনলাইন পেমেন্ট থেকে মল কালচার ভুলিয়ে দিয়েছে বাঙালির ‘পুরনো খাতার হিসাবে-নিকেশ’কে। সমাজমাধ্যমের রমরমায় বাঙালির কাছে বাংলার সাল-তারিখের হিসেব রাখাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া এনে দিতেই এবার বারাসত পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের পৌরপিতার অভিনব উদ্যোগ। নববর্ষের আগে রবিবাসরীয় দুপুরে পৌরপিতা ডা. সুমিত কুমার সাহা নিজ ওয়ার্ডে ঘুরে প্রতিটি বাড়ির দোগোড়ায় উপস্থিত হন। বাড়ির মহিলাদের হাতে মিষ্টি মুখে এগিয়ে দিলেন পঞ্জিকা এবং বাংলা ক্যালেন্ডার, সেই সঙ্গে করলেন করজোরে প্রমাণ।
উদ্দেশ্য একটাই, বাঙালির হালখাতার সেই পরিচিত গন্ধটা ফিরিয়ে দিতে হবে। পৌরপিতার এই অভিনব প্রয়াসে হাসিমুখে নববর্ষ পালনে শামিল এলাকাবাসীও। পৌরপিতা সুমিতের ভাষায়, ‘আজকের ডিজিটাইজেশনের যুগে বাঙালি ভুলেই গিয়েছে এই হালখাতা। নববর্ষের আগের দিনে বাঙালির দরজায় হাজির হয় পুরনো বছরের যাবতীয় হিসাব-নিকেশ। অনলাইন আদবকায়দায় নতুন খাতা খোলা হয়ে ওঠে না আর আগের মত। তাই পুরোটা না হলেও, কিছুটা সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার ক্ষুদ্র প্রয়াস করা হল।’