বর্ষার আগেই রাজ্যজুড়ে ২ হাজারের বেশি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পূর্ত দফতর
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
রাজ্যজুড়ে ছোট থেকে বড় সবধরনের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চলেছে পূর্ত দফতর। যদিও প্রতিবছর বর্ষা আসার আগে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, তবে এবার বিশেষভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দফতর। ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব সেতু পরীক্ষার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। মূলত মাঝেরহাটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই পূর্ত দফতরের এমন উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট সেতু। তারপরেই সেতু পরীক্ষা নিয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে পূর্ত দফতরের অধীনে যতগুলি সেতু রয়েছে সেই সব সেতু পরীক্ষা করা হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে গোটা রাজ্যে পূর্ত দফতরের অধীনে ২২০০-রও বেশি সেতু রয়েছে। উত্তরবঙ্গে এরমধ্যে ১৫০টি সেতু রয়েছে। মূলত সেতুগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? তা জানতেই পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে দফতর।
সেতু পরিদর্শনের বিষয়ে গত ৩ এপ্রিল নবান্নে পূর্ত দফতরের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। সেখানে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেই এই।নির্দেশ জারি করে দফতর। নির্দেশে বলা হয়েছে, সেতু খতিয়ে দেখার পর সেই সংক্রান্ত তথ্য ‘সমীক্ষা’ পোর্টালে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আপলোড করতে হবে।
সূত্রের খবর, এই কাজের অগ্রগতির জন্য তিনটি জোনের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পূর্ত দফতরের তরফে বিভিন্ন সেতুতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে হাইট বার বসানো থেকে শুরু করে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য ব্যবস্থা করা হবে। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, মাঝেরহাটের মতো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এত সংখ্যক সেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষা এই সময়ের মধ্যে করার জন্য পরিকাঠামো রয়েছে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে এনিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে বলে পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হচ্ছে।