দমদম থেকে মাঝেরহাট স্টেশন পর্যন্ত রয়েছে চক্র রেলপথ। প্রতিদিন চক্র রেলের মাধ্যমে ৬৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।তবে বছরে প্রায় ৩০দিন বন্ধ থাকে এই রেলপথ। মহালয়ার তর্পণ বা দুর্গাপুজো, কালীপুজোর বিসর্জন অথবা ছট পুজোকে কেন্দ্র করে চক্র রেল আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক ব্যক্তি। বছরভর যাতে চক্ররেল পরিষেবা সকল থাকে তারজন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মামলাকারী।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, দমদম থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত চক্ররেল পথ হল ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। বারবার ট্রেন বদলের ঝামেলা এড়াতে বহু যাত্রী চক্ররেলকে বেছে নেন। কিন্তু, পুজো পার্বণ এলেই রেলের তরফে এই পথে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মূলত সুরক্ষার কারণে এই পথে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে রেল। কারণ পুজো পার্বণের সময় প্রচুর দর্শনার্থী রেলপথ পেরিয়ে বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাটে ভিড় করেন। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা হোক। তবে মামলাকারী চাইছেন যেন বছরভর চক্ররেল সচল থাকে।
আগামী বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলা করেছেন কৃষ্ণ দাস নামের এক ব্যক্তি। তিনি আর্জি জানিয়েছেন, বছরভর এই রেল পরিষেবা সচল রাখতে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হোক। এবিষয়ে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় সেবিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
মূলত এই সময়গুলিতে চক্র রেল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি গঙ্গার ঘাটে প্রচুর ভিড় থাকার কারণে ওই দিনগুলিতে চক্ররেল ঘুরতি পথে চলে অথবা পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ করে থাকে রেল। প্রসঙ্গত, কলকাতার বিভিন্ন জায়গার মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে ১৯৮৪ সালে তৈরি করা হয় চক্ররেল। যা সার্কুলার রেলওয়ে নামেও পরিচিত। দমদম থেকে মাঝেরহাট যাতায়াতের জন্য এই রুট যথেষ্টই জনপ্রিয়।