দিল্লিতে যাচ্ছেন চাকরিহারারা। নিজেদের দুর্দশার কথা গোটা দেশকে বলতে চান তাঁরা। যদিও এই দিল্লি-সফরকে ‘ড্রামা’ বলে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতায় বসে বিরোধী দলনেতার বার্তা, ‘দিল্লি পুলিশ আছে। লাঠির সাইজ ৮ ফুট।’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারাদেরই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতায় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে তখন এক সুর শোনা যায় বিরোধী দলনেতার গলায়, অথচ সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে গেলে তখন হুঁশিয়ারি? যদিও শুভেন্দুও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন তিনি এ কথা বলছেন।
সোমবার দিল্লিতে পৌঁছবেন এসএসসির চাকরিহারাদের একাংশ। ১৬ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থানে বসবেন তাঁরা। এই কর্মসূচি নিয়েই এ দিন প্রশ্ন করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের দালালরা যাচ্ছে। ওই মেহবুব বলে ছেলেটা নিয়ে যাচ্ছে তো? যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দনা করছিল। ওসব ড্রামাবাজি জানা আছে। দিল্লি পুলিশ আছে। লাঠির সাইজ ৮ ফুট।’ একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা এও জানান, এই সমস্যার সমাধান মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন। আদালতে যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা তুলে ধরলেই, যোগ্যরা নতুন দিশা পেতে পারেন।
তবে বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে চাকরিহারাদের বক্তব্য, আলোচনায় বসলে দালাল তকমা দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলন করলে লাঠির আঘাত জুটছে। তাঁরা কোথায় যাবেন? নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে চাকরিহারা মহম্মদ মেহবুব মণ্ডল লেখেন, ‘শুভেন্দু বাবু, চাকরি বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছি। কারও দালালি করতে নামিনি। আপনি যদি আপনার পুরোনো দিনের চরিত্রের সঙ্গে আমার মিল পেয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপনার দৃষ্টিভ্রম।পারলে পাশে দাঁড়ান।’
চাকরিহারা শিক্ষক ক্ষুদিরাম রায় বলেন, ‘উনি ঠিকই বলেছেন, মেহবুবদাই নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনের মুখ অবশ্যই তিনি। তবে তৃণমূলের দালাল যদি কেউ হয়ে থাকে সেটা শুভেন্দু অধিকারী। উনি সেই দালালি করেছিলেন তৃণমূলে থাকাকালীন। তারই ফল আজ আমরা ভুগছি।’