• ‘লোকের দায়িত্ব আপনাদের, বাদবাকিটা আমার’, ভোটের আগে কী করতে চলেছেন কেষ্ট মণ্ডল?
    এই সময় | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • আগামী বছর বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই ভোটপ্রস্তুতি শুরু। নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব শিবিরই। বহু দিন পর ভোটের বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলও। পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। সোমবার কার্যত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন তিনি। বীরভূমের নলহাটি থেকে জানিয়ে দিলেন, তিনি এখন ময়দানেই থাকছেন। শুরু করবেন ম্যারাথন মিটিং। বেঁধে দিলেন, কত জনের ভিড় হতে হবে সেই সব বৈঠকে।

    বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। গত ভোটে দুবরাজপুর বাদ দিয়ে জেলার বাকি ৬ বিধানসভা দখলে রেখেছিল তৃণমূল। এ বারও জেতা আসন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ যেমন রয়েছে, তেমনই মার্জিন বাড়ানো, দুবরাজপুর দখলে পেতেও সব রকম চেষ্টা করবে শাসক শিবির।

    এই আবহে সোমবার নলহাটিতে মুরারই, হাসন, নলহাটি ও ময়ূরেশ্বরের নেতৃত্বকে নিয়ে সভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সভা থেকেই অনুব্রত ঘোষণা করেন, এ বার তিনি ব্লকভিত্তিক কর্মিসভা করবেন।

    অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘আবারও আগের মতো ব্লকে ব্লকে মিটিং করব। প্রত্যেকটা ব্লকের মিটিংয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোক করতে হবে। লোকের দায়িত্ব আপনাদের। বাদবাকি দায়িত্ব আমার। ২৭ এপ্রিল জেলায় বৈঠক ডেকেছি। ব্লক সভাপতি থেকে বিধায়ক, সকলের মত নিয়ে আমি যেমন আগে ব্লকে ব্লকে মিটিং করতাম, সেই রকম মিটিং আবার শুরু করব।' সেখানেই এক নেতাকে অনুব্রত বলেন, প্রতি ব্লকে মিটিংয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার লোক আনার দায়িত্ব নিতে হবে। বাকিটা তিনি বুঝে নেবেন।

    প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দু বছর জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সে সময়ে জেলায় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন জেলার অন্য নেতা। উল্লেখযোগ্য ভাবে উত্থান হয়েছে কাজল শেখের। যে কাজলের সঙ্গে কেষ্টর সম্পর্ক অম্লমধুর বলে দাবি করেন দলের লোকেরাই। ফলে ছাব্বিশের ভোটের আগে বীরভূমে শাসকদলের অন্দরেই আবার ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা না শুরু হয়ে যায়, সে চিন্তাও রয়েছে দলের একাংশের মধ্যে।

  • Link to this news (এই সময়)