সম্পর্কের টানাপড়েন নাকি লোকলজ্জার ভয়? এক যুবকের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় উঠে আসছে এমনই প্রশ্ন। স্ত্রীয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে তুমুল পারিবারিক অশান্তি। তার পরেই ট্রেনের তলায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। অন্তত অভিযোগ এমনই। সম্পর্কের টানাপড়েনে চণ্ডীতলার নৈটি পঞ্চাননতলায় ঘটেছে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে এমনই অনুমান পুলিশের।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তপন ঘোষ (৪২)। স্থানীয় সূত্রে খবর, চণ্ডীতলার নৈতিক গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তপনের স্ত্রী বয়সে ছোট এক তরুণের সঙ্গে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের বাড়ির সামনেই খেলার মাঠে খেলতে আসতেন ওই যুবক। সেখান থেকে স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষের সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ। সেই পরকীয়া সম্পর্কের টানে তিন নাবালক সন্তানের মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও যান বলেও দাবি।
তপনের বাবা গোপীনাথ ঘোষের অভিযোগ,‘ছেলেকে আলাদা জায়গায় বাড়ি করে দিয়েছিলাম। বিয়ে করার পর সেখানেই থাকত ওঁরা। ছেলে বাইরে কাজ করত। সেই সুযোগে বৌমা একটি ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।’
তপনের বাবা গোপীনাথ ঘোষের অভিযোগ, ‘ছেলেকে আলাদা জায়গায় বাড়ি করে দিয়েছিলাম। বিয়ে করার পর সেখানেই থাকত। ছেলে বাইরে কাজ করত। সেই সুযোগে বৌমা মাঠে খেলতে আসা ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলত, খেলতে এসে অনেকে নাকি বৌমার বাড়িতে যেত। একদিন এসে দেখি বাড়িতে তালা মেরে বৌমা চলে গিয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসখানেক আগে ওই প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রিঙ্কু। কিন্তু কয়েকদিন আগে আচমকাই তিনি বাড়ি ফিরে আসে। তার পরই স্বামী তপনের সঙ্গে শুরু হয় তাঁর তীব্র অশান্তি। হঠাৎই খবর আসে ভোরবেলায় ট্রেন লাইনে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দানপতিপুর ১৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাওড়া- বর্ধমান কর্ড শাখায় রেললাইনে আত্মঘাতী হন তপন ঘোষ। তাঁর পকেটে থাকা আধার কার্ড দেখে শনাক্ত করে জিআরপি। তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার খবর পেয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্ত্রীর এই আচরণের জন্যই স্বামী এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।