বাংলা মাওবাদী মুক্ত। রিপোর্ট দিয়ে জানাল কেন্দ্র। দেশের কোন রাজ্যের কোন জেলায় মাওবাদীদের প্রভাব কতটা, গতবছরের সেই তথ্য ভিত্তিক রিপোর্ট সম্প্রতি রাজ্যকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তাতেই বলা হয়েছে, বাংলার চার জেলা এখন মাওবাদী মুক্ত। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। বাংলার এই চার জেলাতেই মাওবাদী প্রভাব ছিল। কেন্দ্রীয় রিপোর্টের তথ্য বলছে, বাংলার এই চার জেলায় এখন মাওবাদী মুক্ত। তবে ঝাড়গ্রামে এখনও নিরাপত্তা ও উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে রাজ্যকে। উন্নয়নের প্রসার হলে মাওবাদী কার্যকলাপের সুযোগ থাকবে না।
মাওবাদী ক্রিয়াকলাপের উপরে ভিত্তি করে ২০২৪ সালে একটি পর্যালোচনা হয়েছিল। এই বিষয়টিকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে কেন্দ্র। প্রথমটি হলো, দেশে মাওবাদী প্রভাবিত জেলা। অর্থাৎ যেখানে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালিয়েছে মাওবাদীরা। দেশে এমন ১৮টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি ‘লিগ্যাসি অ্যান্ড থ্রাস্ট’, যেখানে এখন আর মাওবাদী প্রভাব নেই, কিন্তু এক সময় প্রভাব ছিল। ভবিষ্যতে সেখানে মাওবাদীরা আবার সংগঠন তৈরি বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। দেশে এমন ২৮টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যেই রয়েছে ঝাড়গ্রাম। অন্যদিকে, দেশের মাওবাদী প্রভাবিত জেলাগুলিকে আবার মোস্ট অ্যাফেক্টেড, ডিস্ট্রিক্ট অফ কনসার্ন এবং আদার এলডব্লিউই অ্যাফেক্টেড জেলা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাকে মাওবাদী মুক্ত রাজ্যের রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্র। তবে কিছু সমস্যা থাকছেই। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, কেন্দ্র সরকারি ভাবে মাওবাদী প্রভাব নেই জানানোর পরে, মাওবাদী দমনের জন্য এখনও যে সব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তা প্রত্যাহারেরও আশঙ্কা থাকে। যদিও এখনো সেবিষয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি কেন্দ্রের তরফে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছেন। একাধিক সরকারি প্রকল্পে সাধারণ মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন। সুতরাং বাংলায় উন্নয়নের প্রসার হলে যে মাওবাদী কার্যকলাপের সুযোগ থাকবে না, তা নিয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।