সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আগুনে জ্বলছে ভাঙড়। মঙ্গলবার নওশাদ সিদ্দিকির ডাকে সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় মিছিল আটকানোকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় বাসন্তী হাইওয়ে। বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। পুলিশের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। উলটে দেওয়া হয় প্রিজন ভ্যান। পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুলিশের ৫টি বাইক। সবমিলিয়ে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে আইএসএফের ‘গুন্ডামি’তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভাঙড়েও।
সোমবার শিয়ালদহের রামলীলা ময়দানে আইএসএফের তরফে ওয়াকফ বিরোধী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আইএসএফের কর্মী, সমর্থকরা। অভিযোগ, বাসন্তী হাইওয়েতে ভোজেরহাটের কাছে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। আইএসএফ কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। বাসন্তী হাইওয়ের উপরই দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার শুরু হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তাতে এক আইএসএফ কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। এরপরই বাসন্তী হাইওয়েতে বসে বিক্ষোভে শামিল হন আইএসএফ কর্মীরা। বিক্ষোভে আচমকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের শোনপুর। অভিযোগ, জাতীয় পতাকা হাতে উন্মত্ত জনতা প্রথমে এলাকার সিসিটিভি ভাঙে। তারপর হামলা হয় পুলিশের উপর। পাঁচ উর্দিধারী জখম হন বলে খবর। প্রিজন ভ্যান উলটে দেওয়ার পাশাপাশি ৫টি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন শিয়ালদহের ওয়াকফ বিরোধী সভা থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “আজ মুসলিমদের সম্পত্তি নিয়ে এই আইন করছে, কাল হিন্দু, ক্রিস্টান, শিখদের সম্পত্তি নিয়েও হবে। তা আমাদের রুখতে হবে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে আমাদের। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন না হলে সেখানে আইএসএফ নেই।” অথচ তাঁর দলের সমর্থকরাই রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। পুলিশের উপর হামলা করে বাইক জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। দলীয় বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, ”আইএসএফ চার পয়সার দল, শুধু শুধু উত্তেজনা, অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। ওদের কোনও জনভিত্তি নেই।” তাঁদের দাবি, যখন তীব্র অশান্তির পর মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান শান্ত হচ্ছে তখনই একেবারে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়কে উত্তপ্ত করা হচ্ছে, এটা আদপে পরিকল্পিত চক্রান্ত।