মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলেই জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। একই বক্তব্য CRPF-এর আইজি ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্টর বীরেন্দ্রকুমার শর্মারও। সংবাদসংস্থা ANI-কে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তবে থমথমে।’ সেখানকার বাসিন্দারা চাইছেন, আপাতত সেখানে সিআরপিএফ-বিএসএফের নজরদারি থাকুক। ক্যাম্প করে তাঁদের নিরাপত্তা দিক। তাঁদের ভয়, পাছে নজরদারি সরে গেলে আবারও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে।
ধুলিয়ানের বাসিন্দা খুশবু দাস। সংবাদসংস্থা ANI-কে খুশবু বলেন, ‘আমাদের দোকান, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তাণ্ডব চলেছে গোটা বাড়িতে। তছনছ করেছে সব কিছু। আমরা যাদের ফোন করেছিলাম, তারা কেউ আমাদের ফোন ধরল না। আমরা বিএসএফ-এর স্থায়ী ক্যাম্প চাই এখানে, যাতে আর এখানে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।’
CRPF-এর আইজি ওয়েস্ট বেঙ্গল সেক্টর বীরেন্দ্রকুমার শর্মার বক্তব্য, তাঁদের বাহিনী টহলে গিয়ে বহু জায়গা থেকে স্থানীয় এলাকায় ক্যাম্প করার আবেদন পাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘৪ কোম্পানি RAF-সহ ৮ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন রয়েছে। সে কারণে মানুষ তাঁদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন। কিছু জায়গায় এলাকার লোকজন চাইছেন যাতে বাহিনী ক্যাম্প করে। তবে আমাদের রিসোর্সের দিকটা দেখতে হবে। এমনকী যদি আমরা ক্যাম্প করতে নাও পারি, সে সব জায়গায় হেঁটে টহলদারি বা গাড়িতে টহলদারির বিষয়টি দেখব।’