সংবাদদাতা, ইসলামপুর: নিজস্ব তহবিলে আয় বাড়াতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করছে ডালখোলা পুরসভা। পুরএলাকায় এখনও বহু ব্যবসায়ী বিনা ট্রেডলাইসেন্সের ব্যবসা করছে। এর ফলে নতুন ট্রেড লাইসেন্স কিংবা রিনিউয়ালের ক্ষেত্রে পুরসভা যা আয় হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। উল্টে ক্ষতিই হচ্ছে। চলতি বর্ষ শুরু থেকে এখনও রাজ্য থেকে উল্লেখযোগ্য ফান্ড আসেনি। এই পরিস্থিতিতে এলাকার উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখতে নিজস্ব তহবিলই পুরসভার ভরসা। তাই ট্রেড লাইসেন্সের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
ট্রেড লাইসেন্স, ডেভলপম্যান্ট ফি, বিল্ডিং প্ল্যান সহ একাধির ক্ষেত্রে রাজস্ব নিজস্ব তহবিলে জমা হয়। সেই টাকা দিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত ছোটখাট কাজ করা হয়। এই ব্যাপারে পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশ সরকার বলেন, আমাদের সার্ভে অনুসারে পুর এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ট্রেড লাইসেন্স হওয়া উচিত। কিন্তু মাত্র ২ হাজার ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স আছে। এর মধ্যে অনেকে ২-৩ বছর থেকে রিনিউ করেননি। শুধু ছোট ব্যবসায়ী নয়, ব্যাঙ্কেরও ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করেনি। একাধিক এটিএম কাউন্টার বিনা ট্রেড লাইসেন্সে চলছিল। সেগুলি যাতে ট্রেড লাইসেন্স নেয় সেজন্য বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এটিএম কাউন্টার ট্রেডলাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। এছাড়াও ছোটখাট ব্যবসায়ীদের বলা হচ্ছে তারাও যাতে ট্রেড লাইসেন্স করে নেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স না থাকলে দোকানদারদের যাতে লোন না দেয়। চেষ্টা করছি যাতে সবাই যাতে ট্রেড লাইসেন্স করে নেয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ছোট ব্যবসায়ীদের কম, বড় ব্যবসা হলে বেশি টাকা দিতে হয়। ৫০০-১০০০-২০০০ টাকাও ট্রেড লাইসেন্সের জন্য খরচ হতে পারে। তা ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করে। একবার লাইসেন্স হলে প্রতিবছর টাকা আসবে। নতুন করার সময় টাকা জমা করতে হবে। রিনিউয়ালের সময়ও টাকা জমা করতে হয়। গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনে হয় ডালখোলা পুরসভায়। ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি, সবাই যেন ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারপর ব্যবসা করে। ফাইল চিত্র