সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সোমবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও খোলা থাকল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ। সেদিন ভিড় উপচে পড়বে। সেই ভিড় সামাল দেওয়ার জন্যই এদিন ছুটি বাতিল করে পার্ক খোলা রাখা হয়েছিল বলে জানান বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ই বিজয় কুমার।
সাফারি পার্ক চালু হওয়ার পর থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। শনিবার-রবিবার তো বটেই বছরের বিশেষ দিনগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের সমাগমে আয় হচ্ছে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনে ফের সাফারি পার্কে আসবেন ভিড় উপচে পড়বে। তার আগেরদিন পার্ক বন্ধ থাকলে দু’দিনের দর্শকদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে। অনেককে বেঙ্গল সাফারি না ঘুরেই ফিরে যেতে হবে। সেই সব বিবেচনা করে এদিন সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান ডিরেক্টর। এদিনও ভালো দর্শক হয়।
পার্কে নানা ধরনের বন্যপ্রাণী আনা হয়েছে। যা দেখার আকর্ষণে বেঙ্গল সাফারিতে দর্শকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাড়ছে আয়। গত আর্থিক বছরের তুলনায় এবার প্রায় দু’কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে বলে জানান পার্কের ডিরেক্টর ই বিজয় কুমার। তিনি বলেন, এখন সাফারিতে ১১টি রয়্যাল বেঙ্গল বাঘ রয়েছে। রয়েছে আরও অনেক প্রাণী। প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জন্য অ্যাডভেঞ্চার পার্ক, সজারুর জন্য নতুন এনক্লোজার, ছোট পাখির জন্য পক্ষীরালয়, অজগর, গোসাপের জন্য কনস্ট্রাক্টর হাইজ ও কম্বো সাফারির নতুন প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে। এতে এই পার্ক আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। শীঘ্রই চশমা মুখো লাঙ্গুরের, ম্যান্ড্রিল, জলহস্তী ও সাংহাই হরিণের জন্য এনক্লোজার তৈরি হবে।
লায়ন সাফারি এখনও চালু হয়নি। প্রায় দেড় বছর আগে ত্রিপুরা থেকে সিংহ দম্পতি সুরজ ও তনয়াকে আনা হয়েছে। ১১ মাস আগে তারা একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। লায়ন সাফারি শুরু না হলেও সাফারিতে আসা দর্শকরা গাড়িতে বসে খাঁচার ভিতরে থাকা সিংহদের দেখতে পাচ্ছেন। লায়ন সাফারি শুরু হলে ভিড় ও আয় আরও বাড়বে বলে আশা পার্ক কর্তৃপক্ষের।