দুই এলাকায় আবর্জনায় বন্ধ নালা, জল উপচে রাস্তায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ
বর্তমান | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পাঁচদিন ধরে রাস্তায় জমে রয়েছে জল। আবর্জনায় নালা বদ্ধ। তাই জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। পুরাতন মালদহ শহরের পুরসভাগামী রোডের ৭নম্বর ওয়ার্ডে বাঁচামারি হিন্দুস্থান মোড় থেকে ৩০০ মিটারের বেশি রাস্তায় এখন চলাচল করা দুঃসাধ্য। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মীরজাপুর নীচু অংশে সোমবার বিক্ষোভ হয়। নিকাশি নালা সাফাই না হওয়ায় রাস্তা জল উপচে পড়ছে। জলে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি সেখানে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। অথচ, স্থানীয় প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।
সাধারণ মানুষের এই দুর্ভোগের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছে দোকানিরাও। বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের জন্য দোকানের সামনে টুকরো ইট ফেলেছেন তাঁরা। আবারও পুরসভাগামী রোডে জল ভেঙে অনেক যানবাহন যাতায়াত করছে। এনিয়ে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। জল জমে থাকায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, টানা বৃষ্টি নেই। এখন যদি জল জমে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে বর্ষার সময় কী হবে? পুরসভার অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যদিও, পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাফাইকর্মী লাগানো হয়েছে। সমস্যা মিটে যাবে। স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দা মানিক কুণ্ডু এবং রঞ্জিত রায় বলেন, নিকাশিনালা দিয়ে জল যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, জল পাস না হয়ে রাস্তায় উপচে পড়ছে। দুর্গন্ধ হচ্ছে। মশার উপদ্রব বেড়েছে। তিন থেকে চার দিন ধরে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার ভ্রুক্ষেপ নেই। ডেঙ্গু হলে এর দায় কি পুরসভা নেবে? এর আগে চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলার এসেছিলেন, তারা সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। এদিন ওই নিকাশিনালার জল উপচে পড়া স্থান দেখতে যান ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শক্রঘ্ন সিনহা বর্মা। তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন নিকাশিনালা করা হয়েছে। সেখানে দুটি নিকাশিনালা রয়েছে। আবর্জনা জমে এমন দশা হয়েছে। আমি সরেজমিনে দেখে এসেছি। জল জমে নানা অসুখ হতে পারে। মানুষের সমস্যা হচ্ছে, এটা স্বীকার করে নিচ্ছি। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানের জন্য এদিন সকাল থেকে সাফাই কর্মী লাগানো হয়েছে। তাঁরা নিকাশিনালা সাফাই করছে। পুরসভাকে বলে আমরা পাম্প লাগিয়ে জল বের করব। আগামী দিনে সমস্যা মিটে যাবে। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শ্যাম মণ্ডল বলেন, রবিবার ছিল বলে সাফাই কর্মীরা ছুটিতে ছিলেন। তারা এদিন চড়কপুজোয় চলে গিয়েছেন। বাসিন্দারা আগে জানালে সমাধান হয়ে যেত।