• প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে বড়ঞায় উত্তেজনা
    বর্তমান | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ সভার পাশ দিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বড়ঞায়। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে সভায় যোগ দেওয়া একদল যুবক। এক পুলিসকর্মী দোকানে ঢুকে পড়লে শার্টার নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে বড়ঞা থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করা হয় ওই পুলিসকর্মীকে। পরে পুলিসি নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ সভা হয়। যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। কোনওপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

    পুলিস জানিয়েছে, সোমবার সকালে ফরাক্কা-হলদিয়া বাদশাহি সড়কের কুলি চৌরাস্তা মোড়ে ওই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল একটি সংগঠন। কয়েক হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।  বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা ছোট গাড়ি ও ট্রাক্টরে করে এসেছিলেন। সভা শুরু হলে ওই মোড়ের বহরমপুর-সুলতানপুর রাজ্য সড়কের একদিকে বসে পড়েন অংশগ্রহণকারী অনেকেই। ফলে, ওই রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্ন হয় বলে অভিযোগ। তবে, সুষ্ঠুভাবে যান চলাচলের ব্যবস্থা করছিলেন সভায় আসা একদল যুবক। 

    কিন্তু, তাতেও সমস্যা খুব একটা মিটছল না। যানজট ছড়িয়ে পড়ছিল। তখনই পুলিস ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ঝামেলা বাধে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এক পুলিস কর্মীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়ে যায়। ওই পুলিস কর্মী একটি দোকানে ঢুকে পড়লে শার্টার নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, কুলি মোড়ে পাল্টা রাস্তা অবরোধ করে ওই যুবকরা। খবর পেয়ে বড়ঞা থানা থেকে আরও পুলিস চলে আসে। পৌঁছন কান্দি এসডিপিও শাশ্রেক আম্বারদার। তিনি নিজে অবরোধকারীদের অনুরোধ করে সরিয়ে দিতে থাকেন। পরে সেখানে একজন অতিরিক্ত পুলিস সুপার আসেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উদ্ধার করা হয় ওই পুলিসকর্মীকেও। এসডিপিও জানান, বড়ঞায় সামান্য গণ্ডগোল হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই ঝামেলা মিটে গিয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। আয়োজক সংগঠনের গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার ওয়াকফ বিল এনে সংবিধানের অবমামনা করেছে। এই বিলের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)