• বেলদা পঞ্চায়েতে বাসিন্দাদের বকেয়া সম্পত্তি কর কোটি টাকারও বেশি, আদায়ের উদ্যোগ
    বর্তমান | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বেলদা: পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের অন্তর্গত বেলদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বাসিন্দাদের সম্পত্তিকর বকেয়া রয়েছে কোটি টাকারও বেশি। বিগত ১০ বছর ধরে সঠিকভাবে সেই সম্পত্তিকর আদায় করা হয়নি বলে উঠেছে অভিযোগ।আদায়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নের কাজ। আর তাই এবারে সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে সেই সম্পত্তিকর আদায়ে উদ্যোগ নিতে চলেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। পোর্টালের মাধ্যমে সম্পত্তিকর বাকি রাখা বাসিন্দাদের মোবাইলে এসএমএস মারফত পাঠানো হবে নোটিস।

    গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল বাড়াতে বিভিন্ন রকম করের ব্যবস্থা রয়েছে পঞ্চায়েত আইনে। যার মধ্যে অন্যতম সম্পত্তিকর। এছাড়াও বাণিজ্য কর থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা ধরনের কর রয়েছে। এতদিন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সম্পত্তি কর বাদে বাকি সমস্ত কর অনলাইনের মধ্য দিয়ে আদায় করা হতো। শুধুমাত্র এই সম্পত্তি কর গ্রাম পঞ্চায়েত হাতেনাতে আদায় করত, যা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজস্ব তহবিলের আয় বাড়ত। আর সেই তহবিল থেকে করা হয় নানা ধরনের উন্নয়নের কাজ। পয়লা এপ্রিল থেকে এই সম্পত্তি কর অনলাইন মাধ্যমে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ফলে এবারে গ্রাহকদের বকেয়া সম্পত্তি করের তালিকা তৈরি করে পোর্টালের মধ্য দিয়ে তাদের মোবাইলে এসএমএস মারফত পাঠানো হবে বকেয়ার নোটিস। বাসিন্দারা সেই নোটিস পাওয়ার পর অনলাইনে তাদের বকেয়া কর মেটাতে পারবেন। জানতে পারবেন তাদের বকেয়ার পরিমাণ ও ফাইনের পরিমাণ। জানা গেছে, শুধুমাত্র এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মহম্মদপুর মৌজাতে এই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। দেউলি, ছোটমাতকতপুর, শুশিন্দা মৌজা মিলিয়ে বকেয়ার পরিমাণ পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ।

    উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, এতদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে হাতে হাতে এই সম্পত্তিকর আদায় করা হতো। পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি থেকে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ তাদের এই কর বকেয়া রেখে দিয়েছেন, যার পরিমাণ কোটি ছাড়িয়েছে। এবার অনলাইন ব্যবস্থা চালু হ‌ওয়ায় আশা করছি সেই সমস্যা দ্রুত মিটবে। এলাকাবাসীদের অনুরোধ অনলাইন মারফত তাদের বকেয়া করের পরিমাণ জেনে তা যেন অনলাইনে পোর্টাল মারফত মিটিয়ে দেন। পাশাপাশি যে সমস্ত বাসিন্দা এই কর বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের কাছে শীঘ্রই এসএমএস মারফত নোটিস পাঠানো হচ্ছে। 

    গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য গৌরীশংকর অধিকারী বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ম মেনে সম্পত্তিকর আদায় হয়নি বলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া থেকে গিয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে যাতে বাসিন্দারা এই সম্পত্তি কর জমা দিতে পারেন, সে বিষয়ে তাঁদের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রথমে সচেতন করা উচিত। নাহলেএই বকেয়া আদায় করা সম্ভব হবে না।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)