পাঁচমাসের শিশুসন্তানকে খুন করে প্রেমিকের সঙ্গে পালাল মা
বর্তমান | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, বহরমপুর: দুধের শিশুকে খুন করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মা। রবিবার সকালে শক্তিপুর থানার কামনগরের কাজিপাড়ায় এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত পাঁচমাসের শিশুর বাবা রহিত শেখ বলেন, পড়শিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে কাজিপাড়ায় স্ত্রীর বাপের বাড়ি গিয়ে ছেলের মৃতদেহ নিয়ে এসে সালার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিস জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। রহিত শেখ তাঁর স্ত্রী হাসিনা খাতুন, শাশুড়ি ও স্ত্রীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাড়ে চারবছর আগে সালার থানার তালিবপুরের শেখপাড়ার বাসিন্দা রহিত শেখের সঙ্গে কাজিপাড়ার হাসিনা খাতুনের বিয়ে হয়। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক রহিত আটবছর ধরে কেরালায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। ঈদের ১৫দিন আগে বাড়ি এসেছেন। রহিত বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে শক্তিপুরের এক যুবকের সাড়ে তিনবছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। অনেক আগে জানতে পেরে শাশুড়িকে বলি। শাশুড়ি সব জেনেও মেয়ের পরকীয়াকে সমর্থন করতেন। হাসিনা বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়ি থাকত। ঈদের একদিন আগে তালিবপুর এসে নতুন জামাকাপড় নিয়ে পরদিনই ফের বাপের বাড়ি চলে যায়। এর আগে প্রেমিকের প্ররোচনায় ওই বধূ তিনমাসের গর্ভস্থ ভ্রূণও নষ্ট করেছিল। পরে সত্যতা সামনে আসে। এক পড়শির ফোন পেয়ে রবিবার দুপুরে রহিতের পরিবার জানতে পারে, পাঁচমাসের ছেলেকে খুন করে প্রেমিকের সঙ্গে হাসিনা পালিয়েছে। মৃতের কাকা রিপন শেখ বলেন, আমরা শক্তিপুর থানার কাজিপাড়ায় গিয়ে জানতে পারি, ছেলেটিকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। হাসিনা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে। তার মা বাড়িতেই ছিল। আমরা ওই বাড়ি থেকে শিশুর দেহ নিয়ে সোজা সালার থানায় পৌঁছই। ওই শিশুর নামকরণও করা হয়নি। রহিত শেখ বলেন, স্ত্রী প্রায়ই আমার থেকে পাঁচ-দশহাজার টাকা নিত। আমি কেরালা থেকে সেই টাকা পাঠাতাম। ওই টাকা প্রেমিককে দিয়ে দিত। ঈদের আগেও পাঁচহাজার টাকা নিয়েছে। স্ত্রী যাতে অবৈধ সম্পর্ক থেকে সরে আসে, সেবিষয়ে বোঝাতে বারবার শাশুড়িকে অনুরোধ করেছি।
রহিত শেখ আরও বলেন, দু’বার বিবাহ বিচ্ছেদের পরিস্থিতি হয়েছিল। কিন্তু কিন্তু হাসিনা বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হয়নি। দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখে চলত। ভেবেছিলাম ছেলে হলে মতিগতি পাল্টাবে। অবশেষে নিজের ছেলেকে খুন করেই পালাল। ওদের কঠোরতম শাস্তি চাই।