সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: তিনজন প্রোমোটারের বিরুদ্ধে খেলার মাঠ দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তপ্ত হল নবদ্বীপের কানাইনগর বটতলা। প্রোমোটারের লোকজনের সঙ্গে গ্রামবাসীর একাংশের তুমুল সংঘর্ষে বাধে। একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ইটবৃষ্টি করতে থাকে। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নবদ্বীপ এবং কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিস পাল্টা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিসকে লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয়। তাতে জখম হয়েছেন কয়েকজন পুলিস কর্মী। ঘটনায় পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই মাঠটিতে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে। কিন্তু এলাকার তিন প্রোমোটার ভাড়াটে গুণ্ডা এনে জমি দখল করতে এসেছিল। তখন এলাকার মানুষ বাধা দেয়। তখন দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকার লোকজনকে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। পরে পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিন বিশ্বাস বলেন, আজ সকালে হঠাৎ করে দেখি, বিষ্ণুপুর, ভালুকা এবং দে পাড়ার এলাকার তিনজন প্রোমোটার এই মাঠ দখল করতে আসে। ওরা দাবি করে, এই মাঠ ওদের। মাঠ ছেড়ে দিতে হবে। প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের ১০জনের নামে কেস করে। তখন আমরা আদালতে যাই। আমাদের কাছেও কোনও কাগজপত্র ছিল না। আমরা জানি, জায়গাটা খাস জমি। মাঠে ফুটবলের বারপোস্ট আছে। সেটা তুলে ফেলার চেষ্টা করে প্রোমোটারের লোকেরা। তখন গ্রামের সব মানুষ চলে আসে। কৃষ্ণনগর এবং নবদ্বীপ দুই থানা থেকে পুলিস আসে। কৃষ্ণনগর থানা পুলিস আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নবদ্বীপ থানার এক পুলিস কর্মী আচমকাই লাঠিচার্জ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা বিবি ও নতু বিবি বলেন, মাঠটি নবদ্বীপ বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। এখন ওরা নকল দলিল করে বলছে, এটা ওদের মাঠ। আমরা যখন মহিলারা সবাই যাই, তখন আমাদের বলে, গুলি করে মেরে ফেলবে। পুলিস এসেও আমাদের মেরেছে।
এক প্রোমোটার বলেন, এটা খাস জমি নয়। মিথ্যা বলা হচ্ছে। আমাদের কাছে ওই জমির সমস্ত দলিল আছে। ওখানে সাত-আটটি ঘর আছে। যারা এই জমিটা ভোগ দখল করতে চাইছে। এরা ইচ্ছা করে একটা অশান্তি পাকায়। আমরা প্রশাসনের শরণাপন্ন হব।
নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তেওয়ারি বলেন, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট- পাটকেল ছোড়া হয়। কয়েকজন দাবি করেছেন, তাঁরা এই জায়গা কিনেছেন। আর লোকের দাবি, এটা খেলার মাঠ। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে খেলা হচ্ছে। জমিটা বিতর্কিত। পুলিস লাঠিচার্জ করেনি। - নিজস্ব চিত্র