• ধর্মের নামে হাঙ্গামা বরদাস্ত নয়, কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের মঞ্চে বার্তা মমতার
    বর্তমান | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ধর্মের নামে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। সোমবার কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে সম্প্রীতি ও একতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিভেদকামী শক্তিকে এভাবেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘ধর্ম নিয়ে অধর্মের খেলা খেলতে নেই। কারও প্ররোচনায় আইন হাতে তুলে নেবেন না। কেউ কেউ উস্কানি দেবে, প্ররোচনা আসবে। তাতে পা দেবেন না। বাংলার মাটি শান্তির মাটি। আমরা হারব না। মাথা নত করব না।’ পয়লা বৈশাখের আগের দিন কালীঘাট স্কাইওয়াক, নবনির্মিত হকার্স কর্নার এবং নবরূপে সজ্জিত কালীঘাট মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রতি বছরের মতো এবারও মায়ের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। আরতি করেন। কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেই খবর। 

    ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় হিংসা ও অশান্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে পুলিসি তৎপরতায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে শুরু করেছে সেসব এলাকায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। এদিন কালীঘাটের মঞ্চে তাঁর মিনিট ২০-র বক্তৃতায় আরও একবার তিনি বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও একতার কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি অন্য কোনও অনুষ্ঠানে গেলে আমাকে নিয়ে নানারকম কথা বলা হয়। এমনকী আমার টাইটেলটাও পাল্টে দেওয়া হয়। ধর্ম নিয়ে কারা অধর্মের খেলা খেলে? ধর্ম মানে তো সম্প্রীতি, একতা। কীসের লড়াই, কীসের দাঙ্গা?’ মুখ্যমন্ত্রী যখন মঞ্চ থেকে এই কথা বলছেন, তখন মঞ্চের সামনে ও রাস্তার দু’দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সারিবদ্ধ জনতাকে করতালি দিয়ে সোচ্চার সমর্থন জানাতে দেখা গেল। মঞ্চ থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দিলীপ মহারাজও। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মহামিলনের চেষ্টা করছেন, তা সফল হোক। তার উপর মায়ের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।’ 

    বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে হকাররা আমাদের সবরকম সহযোগিতা করেছেন। দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক করার সময় তিনবার মিটিং করেছিলাম। তখনই কালীঘাটেও এরকম একটি স্কাইওয়াকের কথা মাথায় আসে। হাজরা পার্কে হকারদের সরানো হয়েছিল। এখন হকার ভাই-বোনেদের জন্য এয়ার কন্ডিশনড রিফিউজি হকার্স কর্নার করা হয়েছে। তারাপীঠেও স্কাইওয়াক করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ওখানে মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা খুবই সঙ্কীর্ণ হওয়ায় করা যায়নি।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)