নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : সোমবার বাসন্তী ও বিষ্ণুপুরে দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশু সহ দু’জনের। দু’টি জায়গাতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাসন্তীর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে গাড়ির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সেটি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেন স্থানীয় মানুষ। শুধু তাই নয়, সেখানে যে মাটি কাটার জেসিবি রাখা ছিল তাতেও আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ঝড়খালি কোস্টাল থানার অন্তর্গত নফরগঞ্জে নিজের বাড়ির কাছেই রাস্তা পারা হওয়ার সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি মাটির গাড়ি ওই শিশুকে ধাক্কা মারে। পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃতের নাম কুন্তল মণ্ডল (১০)। ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও এলাকার মানুষ গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে, এই অভিযোগ তুলে অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই মাটির গাড়ি এবং জেসিবিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঝড়খালি কোস্টাল এবং বাসন্তী থানার পুলিস। ক্যানিং মহকুমা পুলিস আধিকারিকও বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির হয় সেখানে। কিন্তু তাদের দেখে বিক্ষোভের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকে আবার চালকের খোঁজে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। পুলিস ওই শিশুর দেহ তুলতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিসি আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অন্যদিকে, এদিন ভোরে বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত ধানকলের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কলকাতাগামী একটি বেসরকারি বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চালকের। আহত হন বেশ কয়েকজন। আশপাশে লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। জেসিবি দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকটির সামনের অংশ কেটে মৃতদেহ বের করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত চালকের নাম অনিলকুমার মাহাতো (৩৪)। তাঁর বাড়ি বিহারে। এই ঘটনার জেরে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জাতীয় সড়কের উপর যান চলাচল