এই সময়, আরামবাগ: ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। তখন উল্টো ছবি দেখা গেল হুগলির আরামবাগে। ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার সকালে আরামবাগ শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেই মিছিল থেকে আওয়াজ উঠল, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, এক সঙ্গে থাকতে চাই, দেশ জুড়ে ডাক দাও, ওয়াকফ বিল পুড়িয়ে দাও।’ কেউ আবার স্লোগান দিলেন, হিন্দু মুসলিম দিচ্ছে ডাক, কালা কানুন নিপাত যাক।’ এ ভাবেই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ মিছিল থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন আয়োজকরা।
মিছিল শুরু হয় হরিণখোলা থেকে। আরামবাগ–কলকাতা জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মিছিল শেষ হয় মায়াপুরে। সেখানে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চে আরামবাগের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম সাহেবরা ছাড়াও হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন হিন্দু ট্রাস্টের সহকারী সম্পাদক তথা সর্বধর্ম সমন্বয় সমিতির রাজ্য সম্পাদক সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ সংগঠনের একাধিক কর্মকর্তা।
আরামবাগ সাধারণ নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। হাজির ছিলেন পুলিশের বড় কর্তারা। যদিও মিছিল শেষ হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। মিছিল থেকে একটি বারের জন্য কোনও উস্কানি মূলক মন্তব্য শোনা যায়নি।
এই মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা খলিল মল্লিক বলেন, ‘আমরা ওয়াকফ বাঁচাও আন্দোলনে নেমেছি ঠিকই, কিন্তু এটাকে সামনে রেখে কেউ যাতে হিন্দু–মুসলিম ঐক্যে চিড় ধরাতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা খুবই সতর্ক।’
আসাদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এখানে সবাই এক সঙ্গে থাকি। কিছু বিকৃত মানুষ হিন্দু–মুসলমানের মধ্যে লড়াই লাগানোর চেষ্টা করছে। আমরা তার নিন্দা করছি।’
সুমন বলেন, ‘আমরা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করি। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে কোনও কিছু করা উচিত নয়। তাই আমরাও এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছি।’