তাইল্যান্ডে আয়োজিত কিক-বক্সিং বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে জোড়া সোনা জিতল দুর্গাপুরের ৯ বছরের আরাধ্যা ধীবর। তার এই সাফল্যে খুশির হাওয়া শহরের ক্রীড়ামহলে।
৭ থেকে ১২ এপ্রিল তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে ‘ব্যাঙ্কক ইয়ুথ সেন্টার ইন্ডোর স্টেডিয়াম’-এ বসেছিল কিক-বক্সিংয়ের বিশ্বযুদ্ধ। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশ্ব কিক-বক্সিং পরিচালন সংস্থা ‘ওয়াকো’-র সভাপতি রয় বেকর। প্রায় ৪০টি দেশের ৯০০ প্রতিযোগী সেখানে যোগ দেয়। ভারত থেকে ২২ জন খেলোয়াড়-সহ মোট ৩১ জনের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। চাইল্ড ক্যাটাগরিতে দেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে আরাধ্যা -৩৬ ও +৩৬ বিভাগে পয়েন্ট ফাইট ইভেন্টে যোগ দিয়ে জোড়া সোনা জিতল।
১-৫ ফেব্রুয়ারি নিউ দিল্লিতে আয়োজিত চতুর্থ ওয়াকো ইন্ডিয়া ওপেন ইন্টারন্যাশনাল কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে আরাধ্যা তিনটি সোনা জিতেছিল। সেই সাফল্যের সুবাদেই তাইল্যান্ডে কিক-বক্সিং বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় আরাধ্যা। তার মা কাকলি জানান, ‘‘গত দেড় বছর ধরে ঈশ্বর মাঝির কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে আরাধ্যা।’’ দুর্গাপুরের কমলপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আরাধ্যার বিশ্বকাপে যাওয়ার খরচ জোগাতে বিপাকে পড়েছিলেন তার বাবা-মা। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও কিছু সমাজসেবী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত আরাধ্যা তাইল্যান্ডে গিয়ে বিশ্বকাপে যোগ দিয়ে জোড়া সোনা জিতল। মাত্র ৯ বছর বয়সেই স্কুল, জেলা, রাজ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোট ২০টি পদক জিতেছে সে। সেই ঝুলিতে যুক্ত হল বিশ্বকাপের দুটি পদকও।
আরাধ্যার প্রশিক্ষক ঈশ্বর মাঝি বলেন, ‘‘আরাধ্যা খুবই পরিশ্রমী। মাত্র দেড় বছরেই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। উপযুক্ত সহযোগিতা পেলে আগামী দিনে ও আরও বড় হবে।’’
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, ‘‘আরাধ্যা দুর্গাপুর, রাজ্য তথা দেশের গর্ব। ওর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’’