মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনা নিয়ে ফের সরব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাওয়াই, ‘লাথো কে ভূত, বাতো সে নহি মানেঙ্গে...।’ তাঁর মতে, এই ধরনের অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন যারা, ডান্ডা দিয়েই ঠান্ডা করা যাবে তাদের।
হরদোই এলাকায় একটি জনসভা থেকে মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘বাংলা জ্বলছে। তা সত্ত্বেও ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। লাথো কে ভূত বাতো সে নহি মানেঙ্গে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে হিংসায় ইন্ধনকারীদের উপর কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। এই সব দুষ্কৃতীদের ওষুধ ডান্ডা। যাঁদের বাংলাদেশ পছন্দ তাঁরা সেখানেই চলে যান।’
এর আগে রবিবার লখনৌতে ভারতরত্ন ‘বাবাসাহেব ড: ভীমরাও আম্বেদকর সম্মান সমারোহ’ অনুষ্ঠান থেকে যোগী বলেন, ‘তিন জন হিন্দুকে ঘর থেকে বের করে এনে হত্যা করা হয়েছে। এরা কারা জানেন? সেই দলিত এবং দরিদ্র মানুষ, যাঁরা সমাজে অবহেলিত।’
গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। সামশেরগঞ্জ, সুতি এলাকায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এই অশান্তির ঘটনায়। তার পরেই এলাকায় এলাকায় নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার ভাঙড় থেকেও অশান্তির খবর এসেছে। এই প্রসঙ্গে লখনৌয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় অব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে। বিরোধীরা ভয় পাচ্ছে বলেই এমন অশান্তি ঘটাচ্ছে।’