গত শুক্রবার থেকেই তপ্ত মুর্শিদাবাদ। হাইকোর্টের নির্দেশে সেখানে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এক সংবাদসংস্থা সরকারি সূত্রকে উল্লেখ করে জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশে অশান্তির নেপথ্যে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ইন্ধন থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানানো হয়েছে এমনটাই।
গত শুক্রবার থেকেই মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, জঙ্গিপুরে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। গত শনিবার সেখানে বাবা এবং ছেলেকে খুনের অভিযোগও আসে। ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলায় অশান্তির ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা ২০০-র বেশি। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, নতুন করে সেখানে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। মঙ্গলবার নববর্ষে বেশ কিছু দোকানও খুলেছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সরকারি অনুষ্ঠান থেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, ‘অনুমতি নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। আইন কখনও হাতে তুলে নেবেন না। আইন রক্ষার জন্য রক্ষক রয়েছেন, ভক্ষকের প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ প্ররোচনা দেবে, কিন্তু প্ররোচিত হবেন না। প্ররোচিত করা হলে সেই সময় মাথা ঠান্ডা রাখাই আসল জয়। আপনারা জয়ী হোন।’