• এবার চাঁপদানিতে বন্ধ ইন্টারনেট, কেন? প্রশাসনকে নিশানা শুভেন্দুর
    আজ তক | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • হুগলির চাঁপদানির বিস্তীর্ণ এলাকায় গন্ডগোল জেরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন ২০২৩-এ রিষড়ায় গন্ডগোল হয়েছিল ওষুধ দিয়েছিলাম দু বছর হয়ে গেছে সব ভুলে গেছে এখন আবার নতুন করে ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন।

    ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে দিকে দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিলের সংশোধনী প্রত্য়াহারের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন অনেকেই। কলাকাতায়  যেমন এই বিলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল ও সমাবেশ হয় ঠিক সেই মতোই দিকে দিকে বিক্ষোভ চলে। মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

    হুগলির রিষড়ায় একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরে বিরোধী দলেনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে বলেন, 'দেশের পার্লামেন্টে যদি কোন বিল পাস হয় এবং তার ওপর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর হবার পরে বিল আইনের হিসাবে পরিণত হয়। তারপর যদি কোন পক্ষের আপত্তি থাকে তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে যায়।  কিন্তু এই রাজ্যে মমতার পুলিশের প্রশ্রয় এক শ্রেণীর লোকেরা আইনের বিরোধিতা নামে গুন্ডামি করছেন।'

    উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, 'এইসব বিশৃঙ্খলা ইউপিতে যখন মাওলানা অখিলেশ যাদব শাসন ছিল তখন চলতো । কিন্তু যোগী ক্ষমতায় আসার পরে উত্তরপ্রদেশে এইসব বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাতেও যেদিন সনাতনীদের সরকার আসবে জিহাদীদের এই গুন্ডামি বন্ধ করে দেওয়া হবে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার বিশেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন যে মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ , ধুলিয়ান সহ মালদার মোথাবাড়ি , ফারাক্কাতে হিন্দুদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । সেখানে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে , কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।' 

    মুর্শিদাবাদে আধা সেনা নামানোর বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুর্শিদাবাদের চিন্তা বাংলার পুলিশকে করতে হবে না। বিএসএফ সিআরপিএফ সব বুঝে নেবে।' রাজ্য পুলিশের এডিজি ল এন্ড অর্ডার জাভেদ শামীমের তুলোধনা করে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'যখন মুশিদাবাদ উত্তপ্ত ছিল তখন পুলিশ নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য শাটার নামিয়ে লুকিয়ে ছিল। তিনি আরও বলেন যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভাঙরে কলকাতা পুলিশের অনেক বাইককে তথাকথিত শান্তির দূতেরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।' শুভেন্দু অধিকারী ISF কে TMC-র বি টিম বলেন।

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা দিলেন হুগলি জেলা তৃণমূলের  সভাপতি ও বিধায়ক অরিন্দম গুইন। তিনি জানান, 'এই বাংলায় বিরোধীদের কোন অস্তিত্ব নেই। বাংলায় সিপিএম কংগ্রেস শূন্য। বিজেপিকে বাংলার মানুষ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। বিগত লোকসভা বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখে আসছি বিজেপিকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে। কিন্তু তারা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিভাবে বাংলাকে কলুষিত করবে, মুখ্যমন্ত্রী ইমেজকে কালিমালিপ্ত করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ একমাত্র মমতা ব্যানার্জির উপর বিশ্বাস করে। বিজেপি ধর্মের নামে ভারতবর্ষকে ভাগ করার চেষ্টা করে। হিন্দু ধর্মেও বিভেদ সৃষ্টি করে।'
  • Link to this news (আজ তক)