তার মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। তিনি তীব্র ভাষায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং অভিযোগ করেন, বাংলায় দাঙ্গাকারীদের যেন ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “বাংলা পুড়ছে, মুখ্যমন্ত্রী নীরব। যারা দাঙ্গা করছে, তারা মুখ্যমন্ত্রীকে শান্তির দূত বলছে।” তিনি আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের দমন না করে বরং প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের মূল বার্তা ছিল, যারা দেশের সংস্কৃতি ও নিয়মনীতি মানে না এবং বাংলাদেশি চিন্তাধারা পছন্দ করে, তাদের বাংলাদেশেই চলে যাওয়া উচিত। এমন স্পষ্ট বার্তা আগেও বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, তবে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর এই ভাষ্য আরও তীব্র।
তিনি কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টিকেও নিশানা করেন। বলেন, “বাংলায় এত বড় দাঙ্গা চলছে, আর কংগ্রেস-সপা নেতারা নীরব। এটাই তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে।”
সাম্প্রতিক মুর্শিদাবাদ, ভাঙড়, ও শমশেরগঞ্জে ওয়াকফ ইস্যু ঘিরে যা যা ঘটেছে, তাতে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছেই। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন যোগী আদিত্যনাথ। তার এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে আরও আলোড়ন তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।