• জিম করা ভাগ্নে স্বামীর চেয়ে স্মার্ট! পরকীয়ায় জড়িয়ে মামী-ভাগ্নের চরম সিদ্ধান্ত, হতবাক পরিবার...
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • অশোক মান্না: ভাগ্নের সঙ্গে পরকীয়া মামীর। আর সেই পরকীয়ার পরিণতিতেই একে অপরকে ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী মামী-ভাগ্নে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার অন্তর্গত উত্তর রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইক পাড়ার ঘটনা। পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দশেক আগে বজবজ থানার অন্তর্গত নন্দনপুরের বাসিন্দা ১৯ বছরের অনন্যার সঙ্গে পাইকপাড়া আশা গাজি তলার বাসিন্দা, রণজিত সরদারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিবাহ হয় দুই পরিবারের সম্মতিতে। 

    বর্তমানে দম্পতির একটি আড়াই বছরের সন্তানও রয়েছে। রণজিতের একটি বাইক সারাইয়ের গ্যারেজ রয়েছে। ওদিকে রণজিতের মা দীপ্তি সরদারের লোকের বাড়ি কাজ করেন। এই দুজনের আয়েই চলছিল টানাটানির সংসার। কোনওভাবে তাঁদের দিন গুজরান হত। মোটের উপর সব ঠিকঠাক-ই চলছিল। কিন্তু এরমধ্যেই সদা হাসিমুখ ও মিশুকে স্বভাবের অনন্যা, রণজিতের পিসতুতো দিদির ছেলে রাকেশ ওরফে রকি বাগের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রকি একটি প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করতেন। তার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চাও করতেন। স্বামী রণজিত সরদারের চেয়ে রকি একটু বেশি-ই স্মার্ট ছিল। সবমিলিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে অনন্যা ও রকির। প্রায়শই রকির মামার বাড়িতে আগমন, মামী অনন্যার তাঁকে খাইয়ে দেওয়া, আদর করা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলা, সবটাই পরিবারের লোকেরা সহজ মনে এড়িয়ে গিয়েছিল। কারণ সম্পর্কে তাঁরা মামী-ভাগ্নে এই ভেবে! 

    যদিও রকি তাঁর আয়ের আয়ের বেশিরভাগ অংশই মামীর পিছনে খরচা করত। এই নিয়ে রকির পরিবারের অভিযোগও ছিল। সম্প্রতি মাস দুয়েক ধরে রকি আর কাজে যাচ্ছিল না। বেশিরভাগ সময়-ই কাটাচ্ছিল মামীর সঙ্গে। এরপর গতকাল রাতে ঠিক কী ঘটেছে, সেটা আর কারোর-ই জানা নেই। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই দুজনে ফোনে কথা বলছিলেন। তারপরই দুজন দুজনের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়। 

    খবর পেয়ে পুলিস তড়িঘড়ি অনন্যাকে উদ্ধার করে বজবজ পুর হাসপাতালে নিয়ে এলে, কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুটি দেহ-ই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুই পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)