স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে ভোগান্তি কমবে কি বঙ্গবাসীর? ২১ এপ্রিল কী হবে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ এপ্রিল ২০২৫
স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেই সমস্ত কিছুর সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে এবং একইসঙ্গে বিমা সংস্থাগুলিরও অভাব অভিযোগ শুনতে ও তারও সমাধান খুঁজতে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক হবে। বৈঠকে চারটি সরকারি বিমা সংস্থা-সহ মোট ১১টি বিমা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে এখনও পর্যন্ত স্থির করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে উপভোক্তা বা গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই। প্রথমত, আমাদের দেশে স্বাস্থ্য বিমার মাসিক কিস্তির অঙ্ক যথেষ্ট বেশি। তা সত্ত্বেও যাতে দুর্দিনে বিপদে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই বহু মানুষ স্বাস্থ্য বিমা করান।
কিন্তু, বিমা করানোর একেবারে গোড়ার নিয়মেই অনেক সমস্য়া রয়েছে বলে অভিযোগ। যেমন - প্রবীণদের সবথেকে বেশি বিমার প্রয়োজন, অথচ তাঁদের জন্য বিমা করাতে হলে কার্যত পকেট উজাড় করে দিতে হয়। তারপরও এমন অনেক ব্যয়সাপেক্ষ অসুখ রয়েছে, যা অধিকাংশ বিমার অধীনেই আসে না। এমনকী, নানা অজুহাত খাড়া করে সাধারণ কিছু রোগবালাইয়ের ক্ষেত্রেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও বিমার কভারেজ পাওয়া যায় না।
এখানেই শেষ নয়। অনেক সময়েই বিমা সংস্থাগুলি বিমা করানোর সময় গ্রাহকদের যেসমস্ত প্রতিশ্রুতি দেয়, বাস্তবে তা রক্ষা করে না। যেমন - বহু ক্ষেত্রেই ক্যাশলেস চিকিৎসার কথা বলা হলেও প্রয়োজনের সময় সেই পরিষেবা পাওয়া যায় না। ফলত, রোগীর পরিবার বাধ্য হয় ধার-দেনা করে চিকিৎসা করাতে। তারপর সেই খরচের বিল বিমা সংস্থায় জমা দিলেও সেই টাকা ফেরত পেতে অনেক সময় লেগে যায়। অথচ, এই সংস্থাগুলিই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট সময় বিমার টাকা কেটে নেয়!
আবার বিমায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালেও হেনস্থার শিকার হতে হয় রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। অনেক সময়ে, বিশেষ করে ক্যাশলেস চিকিৎসায় বিমা সংস্থা ছাড়পত্র না দেওয়া পর্যন্ত রোগীকে অন্য়ায়ভাবে হাসপাতালে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, বিমা সংস্থাগুলিও একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুয়ো বিল তৈরি করে বিমার মোটা টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে।
এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতেই আগামী ২১ এপ্রিল বৈঠক করা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য আধিকারিকরা।