• রাতারাতি চাকরিহারা তৃণমূল কাউন্সিলার, ‘যোগ্য না অযোগ্য?’ এলাকায় চলছে ফিসফাস
    এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ‘কাউন্সিলারের চাকরি গিয়েছে...’। কয়েকদিন ধরেই শোরগোল রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই এলাকায় এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ‘প্রভাবশালী বলেই পথ সহজ হয়ে গিয়েছিল…।’ আবার কেউ আড়ালে বলছেন, ‘পড়াশোনায় ভালো ছিল বলেই তো শুনেছি...।’ অলি-গলিতে চলছে জোর চর্চাও। চায়ের ঠেকে এই বিষয়ে আলোচনার তুফান তুলছেন অনেকেই। সুপ্রিম কোর্টের ‘প্রমাণিত অযোগ্য’ তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে কি না, জানা নেই ওয়ার্ডবাসীর। তবে কাউন্সিলারের দাবি, ‘আমি যোগ্য’।

    ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে রাতারাতি চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কুহেলি ঘোষ হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। ২০১৬ সালের প্যানেলে নাম ছিল তাঁর। সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন তিনিও। চৌহাটি কারবালা হাইস্কুলে পড়াতেন তিনি।

    এর পর থেকেই ওয়ার্ডে চর্চা শুরু হয়েছে এই নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েকজন তো প্রমাণিত অযোগ্য। ওঁর নাম সেই তালিকায় রয়েছে কি না, তা তো জানি না। তবে নিশ্চিত ভাবে কিছু দুর্নীতি তো হয়েছে। না হলে তো আর এতজন যোগ্যকে ভুগতে হতো না!’

    এ দিকে যাঁকে নিয়ে এত চর্চা কী বলছেন সেই কুহেলি ঘোষ? তিনি মাধ্যমিকে স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ছাত্রী ছিলেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই। স্নাতক পাশ করেছিলেন দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ থেকে। এর পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং বিএড করেন। তাঁর দাবি, তিনি যোগ্য। আর নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই চাকরি পেয়েছিলেন।

    হাইস্কুলে চাকরি পাওয়ার আগে পাঁচ বছর তিনি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উল্লেখ রয়েছে, অন্য কোনও সরকারি চাকরি ছেড়ে এই চাকরিতে আসা চাকরিহারারা ফের পুরোনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন। তিনমাসের মধ্যে তাঁদের আবেদন করতে হবে। সেই মর্মে প্রাথমিকের চাকরিতে ফিরতে পারবেন কুহেলি। কিন্তু ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধির চাকরি যাওয়া নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

  • Link to this news (এই সময়)