• পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ড: নববর্ষের দিন কলকাতা সহ রাজ্যের ৭ জায়গায় ইডির হানা
    বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের জাল কত দূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে, তার কিনারা করতে নেমেছে ইডি। সেই কারণেই আজ, মঙ্গলবার নববর্ষের দিনই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কলকাতার বেকবাগান, উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি ও নদীয়ার গেদে সহ বিভিন্ন এলাকাতে একযোগে তল্লাশি শুরু করে ইডি। মূলত এজেন্টদের খোঁজেই এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তদন্ত চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, এই এজেন্টদের মাধ্যমেই ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করানো হয়েছিল। সেই এজেন্টদের যোগাযোগ কতদূর পর্যন্ত ছিল তা জানতেই এদিন আসরে নামে ইডি। পাসপোর্ট জালিয়াতির হদিশ পেয়ে প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিসের সিকিউরিটি কন্ট্রোল। তাতে দেখা যায়, জাল নথি দিয়ে বহু ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদেরই সেই পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া হতো। এই জালিয়াতি কাণ্ডে তদন্ত করতে নেমে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের হাতেই গ্রেপ্তার হন বহু ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবহারকারী থেকে এজেন্টরা। এমনকী কলকাতা পুলিসের এক আধিকারিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মীর গাফিলতির কথাও সামনে আসে। কলকাতা পুলিসের তরফে তাঁদের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে সহযোগিতা করেনি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র। এমনটাই অভিযোগ লালবাজারের। এরপরই আদালতে এই মামলায় চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিস। গত মাসেই আদালতে জমা দেওয়া ১৩০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়, এই মামলায় অভিযুক্ত ১৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনই বাংলাদেশি। তাঁদের সকলে এখনও পলাতক। বাকি ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর বিষয়টি থাকায় মামলাটির তদন্তভার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। তা মঞ্জুর করে আদালত। এরপর ইসিআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই কারণেই আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের মোট সাত জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, এদিন একাধিক জায়গায় তদন্ত চালিয়ে বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
  • Link to this news (বর্তমান)