‘এ কোন মুর্শিদাবাদ!’ মেলাতে পারছেন না বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে যখন উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ, সেই সময় অধীর ছিলেন দিল্লিতে। রাজধানী থেকে ফিরে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে যান অধীর। আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন। যান হাসপাতালেও। উল্লেখ্য, এদিন মুর্শিদাবাদের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্তে খুব শিগগিরই রাজ্যে আসতে পারে কমিশনের প্রতিনিধি দল।
এদিন দুপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান অধীর। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। অধীর বলেন, ‘অনেক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। সরকার ও পুলিশ চুপ। মানুষ বাঁচার লড়াই লড়ছে।’ এরপরই অধীরের গলায় কিছুটা হতাশার সুর শোনা যায়। বলেন, ‘যেভাবে দেখানো হচ্ছে মুর্শিদাবাদ সে রকম নয়। এখানে আমি বড় হয়েছি। হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে থাকে। এসব দেখে খারাপ লাগছে।’
গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে অনেকেই মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে নানা মহলে দাবি করা হচ্ছে। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, অনেকে আবার আশ্রয় নিয়েছেন পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের পাকুড়েও।
সংবাদসংস্থার পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পাকুড়ে পালিয়ে গিয়েছেন দাবি করে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কী যে হল এখনও বুঝতে পারছি না। দোকান খুলে পাশেই বসেছিলাম। আচমকাই ইট, পাটকেল ছুড়তে শুরু করল। বাড়িতেও হামলা করে। টিভি, আলমারি সব ভেঙে দিয়েছে। টাকাপয়সা ছিল। সে সবও লুট করে নিয়ে গিয়েছে।’
এ দিকে মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপি ও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সিপিআইএমের রাজ্য সভাপতি মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘গোটা দেশেই আইন লাগু হয়েছে। তা হলে শুধু মুর্শিদাবাদে অশান্তি কেন? আসলে ২৬-এ ভোট আসছে। তাই বিজেপি-তৃণমূল অশান্তি পাকিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’