এবার সিবিআই দফতর অভিযানে শামিল হবেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। পয়লা বৈশাখের একদিন পরেই অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল সিবিআই দফতর অভিযানে যাবেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এমনটাই জানা গিয়েছে। তাঁদের দাবি, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই সিবিআই দফতর অভিযান করতে চাই। ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্য়ে এই কর্মসূচি হবে।
চাকরিহারা শিক্ষক রাজীব হাঁসদা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, আমরা ১৭ এপ্রিল সিবিআই দফতরে অভিযান করতে চাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক সকলকে আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত হয়েছে। কিন্তু আমরা সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করব আপনারা যোগ্যদের ওএমআরগুলি প্রকাশ করে দিন। সেটা আপনারা ওয়েবসাইটেও দিতে পারেন অথবা আমাদের কাছে দিতে পারেন। তাঁদের যুক্তি হল সিবিআই ওএমআর-এর হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে আছে ওএমআর শিট। সেটাই এবার চাকরিহারা শিক্ষকরা পেতে চান। এর মাধ্য়মে কে যোগ্য় আর কে অযোগ্য় আরও পরিস্কার হয়ে যাবে।
সেই সঙ্গেই সম্প্রতি ‘অযোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরাও মিছিল করেছিলেন। তাঁরাও চাকরিতে পুনরায় বহাল করার আবেদন জানিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছেন যোগ্য় চাকরিহারারা। তাঁদের একাংশের দাবি ওই অযোগ্যদের জন্য় আমাদের এই হাল হয়েছে। নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্য়মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু তিনি যোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন কি না সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। না হলে অযোগ্যরা মিছিল করবেন কলকাতায় এটা কার উৎসাহে, কাদের অনুপ্রেরণায় হল সেটা আমরাও জানতে চাইছি।
চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেন, চোরেরা মিছিল করতে পারে কলকাতায়, তারাও চাকরি চাইতে পারেন এটা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। সাদা খাতারা কীভাবে মিছিল করতে পারেন!
কার্যত এক অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একদিকে যোগ্য বলে দাবি করা চাকরিহারা শিক্ষকরা বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন। চিন্তায় ঘুম আসছে না। ধর্মতলায় বসে রয়েছেন। একাধিক মেধাবী, কৃতী শিক্ষকরা ক্লাসে না গিয়ে রাস্তায় এসে বসেছেন। আর অন্যদিকে অযোগ্য় শিক্ষক, যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাঁরাও এবার চাকরি চেয়ে মিছিল করেছিলেন কলকাতায়। আর এরপর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যোগ্যরা কার্যত বিভ্রান্ত।
তবে শিক্ষকদের একাংশ দিল্লিতে যন্তরমন্তরে যাবেন। ধর্নায় বসবেন। আবার চাকরিহারা শিক্ষকরা নবান্ন অভিযানেও যাবেন। লক্ষ্য একটাই চাকরিটা আবার ফেরত পাওয়া। পয়লা বৈশাখেও মন ভালো নেই। একেবারে দিশেহারা পরিস্থিতি।