বিজেপি বিধায়কের নিজের গ্রামেরই রাস্তার বেহাল দশা, ক্ষোভ এলাকায়
বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, শীতলকুচি: পাথুরে খানাখন্দে ভরা রাস্তা। সেই রাস্তার মাঝে গর্তে কোথাও আবার জল জমে আছে। শীতলকুচি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মনের বাড়ি যাওয়ার রাস্তার এমনই দশা। বিধায়ক হওয়ার চার বছর কেটে গেলেও গ্রামের রাস্তার হাল না ফেরায় বেজায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। বিধায়ক নিজের বাড়ির রাস্তা সংস্কারে যখন ব্যর্থ তখন এ নিয়েই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শীতলকুচি ব্লকের লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের পাগলিমারি গ্রামে বিজেপি বিধায়ক বরেনবাবুর বাড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিধায়ক হওয়ার আগে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়েছিলেন বরেনবাবু। কিন্তু আজও সেগুলি বাস্তবায়িত হয়নি। এত দিনেও গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির তরফেও রাস্তাটি সংস্কার হয়নি।
তৃণমূলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপনকুমার গুহ বলেন, ভোটে জেতার পর থেকে উন্নয়নমূলক কোনও কাজে বিজেপি বিধায়ককে দেখা যায় না। বিধায়ক বড় গাড়িতে ঘোরেন, তাই হয়তো মানুষের সমস্যাগুলি তাঁর নজরে আসে না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বহু গ্রামীণ রাস্তা পাকা হয়েছে। আমরা এই রাস্তাটিও পাকা করার দাবি প্রশাসনকে জানাব।
যদিও বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মনের দাবি, ব্লকজুড়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেই কাজগুলি ওয়ার্ক অর্ডার পাশ হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডিএম’রা বিজেপি বিধায়কদের কোনও কাজের পরিকল্পনা পাশ করেন না।
এ নিয়ে লালবাজার পঞ্চায়েত প্রধান অনিমেষ রায় জানান, রাস্তাটির বিষয়টি নজরে রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদেও জানানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে।
পাগলিমারি আমতলা চৌপথি থেকে দক্ষিণ দিকে কিছুদূর এগলেই বিজেপি বিধায়কের বাড়ি। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো বাসিন্দা যাতায়াত করেন। বেহাল রাস্তার কারণে রোজ নাকাল হতে হয় বাসিন্দাদের। লালবাজারের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিজেপি বিধায়ক শুধু নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের সমস্যা তাঁর চোখে পড়ে না। আমরা রাস্তাটির বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে জানিয়েছি। স্থানীয়দের মধ্যে অশোক সরকার জানান, প্রতিদিন বিধায়ক এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ এই রাস্তাই দীর্ঘদিন ধরেই খনাখন্দে ভরা। বর্ষায় দুর্ভোগ আরও বাড়বে। বিধায়ক পাকা রাস্তা করতে পারেনি। আশা রাখছি, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবে প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।