পুরাতন মালদহ পুরসভা: খোদ চেয়ারম্যানের বাড়ির উল্টোদিকের জলাশয়েই ফেলা হচ্ছে শহরের আবর্জনা
বর্তমান | ১৬ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: শতাব্দী প্রাচীন পুরসভা। অথচ ১৫০ বছরেও তৈরি হল না পুরাতন মালদহ পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। চেয়ারম্যানের বাড়ির উল্টো দিকের জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ এবিষয়ে বলেন, ড্রাম্পিং গ্রাউন্ড টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি সুডা দেখছে, আমরা নই।
রাজ্যের শতাব্দী প্রাচীন পুরসভাগুলির মধ্যে পুরাতন মালদহ অন্যতম। ১৮৫৯ সালে স্থাপিত এই পুরসভা। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় পর এখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা যায়নি। ২০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পুরাতন মালদহ পুরসভার বর্তমান জনসংখ্যা এক লক্ষের বেশি।
প্রতিদিন সকালে এত মানুষের বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা হলেও তা ডাম্প করার নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও কোনও সুবন্দোবস্ত নেই। অগত্যা হাজার হাজার মানুষের ব্যবহৃত আবর্জনা স্তূপাকৃতি করা হচ্ছে যত্রতত্র। এতে দুর্গন্ধে দুর্বিষহ অবস্থা শহরবাসীর। ইংলিশবাজার শহর থেকে মহানন্দা সেতু পার হতেই শুরু হচ্ছে পুরাতন মালদহ পুর এলাকা। মহানন্দা সেতুর বাঁ দিকের গলি ধরে নেমে গেলেই পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড। যা স্বয়ং পুর চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের নির্বাচনী ওয়ার্ড। তিনি নিজেও সেখানে বসবাস করেন। গলির শুরুতেই পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়ি। আর এই শহরের সবথেকে কষ্টের ছবিটা ধরা পড়বে পুর চেয়ারম্যানের বাড়ির উল্টো দিকেই।
চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বাড়ির ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে একটি জলাশয়। অবশ্য সেটা এখন জলাশয় নেই বলেলেই চলে।
কারণ সেই জলাশয়ে স্তূপাকৃতি করে রাখা হয়েছে পুরসভার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত জঞ্জাল। দুর্গন্ধের সঙ্গে মশা মাছির উৎপাতও রয়েছে। এই প্রসঙ্গে কার্তিক ঘোষ বলেন, ওখানে নোংরা ফেলে ভরাটের ব্যাপার নেই। ওটা আগামী দিনে উঠে যাবে। ওখানে একটা মেশিন বসবে। প্লাস্টিক রিসাইকেলিং হবে। বাকি বর্জ্য পৃথকীকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।